পাতা:ছুটির পড়া - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছুটির পড়া وقعوا লাল বর্ণ দেখিতে পাই । উত্তাপ দিতে দিতে নূতন নূতন দ্রুততর কম্পন উৎপন্ন হইতে থাকে এবং ক্রমে পীত হরিৎ নীল ভায়লেট প্রভৃতি নূতন কিরণ জন্মিতে থাকে। এক্ষণে তবে দেখিলাম যে, আলোক ও উত্তাপ উভয়েই ঈথর-তরঙ্গাকারে এক বস্তু হইতে অন্ত বস্তুতে যায়। নদীর স্রোতের মধ্যে যদি একখানা কাপড়ের ব্যবধান দেওয়া যায়, তবে নদীর ঢেউয়ের কতক অংশ সেই কাপড়ের ব্যাঘাত পাইয়া ফিরিয়া আসে, কতক অংশ সেই কাপড়ের মধ্যে শোষিত হইয়া তাহাকে ভিজাইয়া তোলে, এবং কতক অংশ সেই কাপড় ভেদ করিয়া যায়। তেমনি উত্তাপ ও আলোকের ঢেউ কোনো বস্তুতে আঘাত করিবামাত্র প্রায়ই তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া থাকে। যে দিক হইতে ঢেউ আসিতেছিল আঘাত পাইবামাত্র কতকগুলি ঢেউ সেই দিকে ফিরিয়া যায় ; সেই ঢেউগুলিকে প্রতিফলিত বলা হয়। যে ঢেউগুলি বস্তুর ভিতরে প্রবেশ করে ( সকল বস্তুর ভিতরেই ঈথর আছে ) তাহাদের মধ্যে কতকগুলি ঐ বস্তুর অণুবিকম্পন বাড়াইয়া উহাকে উষ্ণ করিয়া তোলে ( এই তরঙ্গগুলিকে শোষিত হয় বল৷ যায় ) এবং অন্তগুলি বাহির হইয়া যায়। বায়ুর ন্যায় এমন অনেক বস্তু আছে যাহার উপর আঘাত করিলে অধিকাংশ তরঙ্গ বাহির হইয়া যায়, অল্পমাত্র প্রতিফলিত হয় এবং প্রায় কিছুই শোষিত হয় না ; উজ্জল ধাতুতে আঘাত করিলে অধিকাংশ তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়, অল্পমাত্র শোষিত হয়, কিন্তু কিছুই বাহির হইয়া যায় না। দরজা-জানালার উপর আঘাত করিলে বেশির ভাগ তরঙ্গ শোষিত হয়, অল্পমাত্র প্রতিফলিত হয়, কিন্তু কিছুই বাহির হইয়া যাইতে পারে না। আবার এমন অনেক বস্তু আছে যাহা উত্তাপ-তরঙ্গ গ্রহণ করিতে পারে, আলোক-তরঙ্গ গ্রহণ করিতে পারে না ; আবার কোনো বস্তু আলোক-তরঙ্গ শোষণ করে এবং উত্তাপ-তরঙ্গ অবিরোধে আপনাদিগকে অতিক্রম করিয়া চলিয়া যাইতে দেয় । একই বস্তু আবার ভিন্ন তরঙ্গের কোনোটিকে বা শোষণ করে,