গণেশের মা, কলাবউকে জ্বালা দিয়াে না,
তার একটি মােচা ফললে পরে
কত হবে ছানাপােনা।
অতি পুরােনাে কালের ভুলে-যাওয়া খবরের আমেজ আসে এমন লাইনও পাওয়া যায়, যেমন—
এক যে ছিল কুকুর-চাটা
শেয়ালকাঁটার বন
কেটে করলে সিংহাসন।
এখনকার নিয়ম হচ্ছে, প্রথমে হারমােনিয়মে সুর লাগিয়ে সা রে গা মা সাধানাে, তার পরে হাল্কা গােছের হিন্দিগান ধরিয়ে দেওয়া। তখন আমাদের পড়াশুনাের যিনি তদারক করতেন তিনি বুঝেছিলেন ছেলেমানুষি ছেলেদের মনের আপন জিনিস, আর ঐ হাল্কা বাংলাভাষা হিন্দিবুলির চেয়ে মনের মধ্যে সহজে জায়গা করে নেয়। তা ছাড়া এ ছন্দের দিশি তাল বাঁয়া-তবলার বােলের তােয়াক্কা রাখে না, আপনা-আপনি নাড়ীতে নাচতে থাকে। শিশুদের মনভােলানাে প্রথম সাহিত্য শেখানাে মায়ের মুখের ছড়া দিয়ে, শিশুদের মন-ভােলানাে গান শেখানাের শুরু সেই ছড়ায়— এইটে আমাদের উপর দিয়ে পরখ করানাে হয়েছিল।
তখন হারমােনিয়ম আসে নি এ দেশের গানের জাত মারতে। কাঁধের উপর তম্বুরা তুলে গান অভ্যেস করেছি। কল-টেপা সুরের গােলামি করি নি।
আমার দোষ হচ্ছে শেখবার পথে কিছুতেই আমাকে বেশি দিন চালাতে পারে নি। ইচ্ছেমতাে কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা পেয়েছি ঝুলি