ছোটদের রামায়ণ ما جه আছে কি না, জানি না—একবার অস্থরদের সহিত যুদ্ধে রাজা আহত হন । তুমি তখন প্রাণপণে র্তাহার সেবা করিয়াছিলে । রাজা তুষ্ট হইরা তোমাকে দুইটি বর দিতে চাহিয়াছিলেন । তখন তুমি সে বর লও নাই, সময়-মত লইবে—এই কথা বলিয়াছিলে । এখন রাজাকে আবার সত্য করাই য়া সেই দুইটি বর চাহিয়া লও । এক বরে চৌদ্দ বৎসরের জন্য রামকে বনে পাঠাইয়া দাও ; আর এক বরে তোমার ভরতকে রাজা কর । রাম দেশে থাকিলে ভারতের শক্রতা করিতে পারে, তাই তাহাকে একেবারে দেশছাড়া করাই নিরাপদ ।” কৈকেয়ী তখন ইহাই উত্তম পরামর্শ বলিয়া বুঝিলেন । তারপর কুঁজীর কথামত গায়ের অলঙ্কার খুলিয়া, সামান্য বস্ত্র পরিয়া ঘরের মেঝেতে তিনি শুইয়া রহিলেন । রাজা দশরথ অভিষেকের সকল আয়োজন শেষ করিয়া এই সুসংবাদ দিবার জন্যে অগ্ৰেই কৈকেয়ীর নিকটে আনিলেন। কিন্তু আসিয়া যাহা দেখিলুেন, তাহাতে তাহার বড়ই কষ্ট হইল। তিনি বার বার কৈকেয়ীকে র্তাহার দুঃখের কারণ জিজ্ঞাসা করিয়াও কোনই উত্তর পাইলেন না। দেখিলেন, রাণী চক্ষের জলে ভাদিতেছেন। রাজা বলিলেন, “কৈকেয়ী, আজ শুভদিন ; তোমাকে আনন্দের সংবাদ দিতে আসিলাম, কিন্তু তোমার এইরূপ
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।