পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

·ෂ 8 ছোটদের রামায়ণ সে আসিতে না আসিতেষ্ট হনুমান প্রথমে তাহার রথখান, শেষে তাহার মাথাটা গুড়া করির দিল । ধূম্রাক্ষের পর বজ্ৰদংষ্ট্র, বজ্ৰদংষ্ট্রের পর অকম্পন, অকম্পনের পর প্রহস্ত, এমন আরও অনেক বীর আসিল । ইহাদের এক একটা ঠিক যেন যমদূত ! গায়ে কাহারও হাজার হাতীর বল, কাহারও বা দশ হাজার হাতীর বল | কিন্তু বানরদের লাথি, চড়, ঘুসি ও কাল এড়াইয়া ইহাদের কাহাকেও ঘরে ফিরিতে হইল না । এইবার রাবণ নিজে আসিল, আর এমন ভয়ানক যুদ্ধ করিতে লাগিল যে, নল, নীল অঙ্গদ কেহই তাহার সম্মুখে দাড়াইতে সাহস করিল না ৷ লক্ষ্মণ যে এত বড় যোদ্ধ, তাহাকেও বিশেষ ব্যতিব্যস্ত হইতে হইল। শেষে কিন্তু রাম রাবণকে এমন শিক্ষা দিলেন যে, সে পলাহতে পারিলে বাচে । তাহার তুর্দশ দেখিয়া রাম বলিলেন, “রাবণ, আজ তোমাকে বড় শ্রাস্ত দেখিতেছি । যাও, ঘরে গিয়া বিশ্রাম কর। কাল আবার আসিয়া যুদ্ধ করিও।” বাস্তবিক, রাবণের তখন এমন অবস্থা নয় যে, দাড়াইয়া যুদ্ধ করে। কাজেই সে আর কথাটি না কহিয়া পলায়ন করিল। যুদ্ধে এত বড় বড় সেনাপতি, এত দলে দলে রাক্ষস মরিয়াছে, তবুও রাবণ তেমন ভয় পায় নাই কিন্তু এবার নিজে হারিয়া তাহার মুখ শুকাইয়া গেল ; সে তাড়াতাড়ি কুম্ভকৰ্ণকে জাগাইবার জন্য লোক পাঠাইল । কুম্ভকৰ্ণ একাই যেন একশত। তাহার পায়ের দাপে পৃথিবী কঁাপিয়া উঠে ; সে যেদিকে দাড়ায়, সেই দিকের আকাশ একে