१२ ছোটদের রামাণ বিশাল ধনুক । যে শূল দেখিলে দেবতারাও ভয়ে কঁাপিয়া উঠেন রাম তেমন কত শূল কাটিলেন, আবার যে সকল বাণে সৃষ্টি লোপ পায়, রাবণ তেমন কত বাণ এড়াইল । এইভাবে অনেকক্ষণ যুদ্ধ চলিল। রাবণ এক একবার ঘুরিয়া পড়িয়া যায় ; সকলে ভাবে, সে মারিয়াছে, কিন্তু একটু পরেই লাফাইয়া উঠিয়া আবার যুদ্ধ করিতে থাকে । শেষে রাম ব্রহ্মাস্ত্ৰ লইলেন । আর কি রক্ষা আছে ? দেখিতে দেখিতে সেই মহা অস্ত্র ছুটিয়া গিয়া রাবণের মাথা কাটিয়া ফিরিয়া আসিলা । এবার রাবণ সত্যই লরিল । রাবণের মৃত্যুতে সকলে কিরূপে সুখী হইল, বুঝিতেই পার! দেবতারা পর্যন্ত পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিলেন। এদিকে লম্বার ঘরে ঘরে কান্নার রোল উঠিল । বিভীষণ ভাল কথা বলিয়াছিল বলিয়া রাবণ তাহাকে তাড়াইয়া দিয়াছিল ; ভাইয়ের শোকে আজ সেই বিভীষণও কাদিয়া আকুল হইল। তাহাকে অনেক করিয়। বুঝাইয়া তবে শান্ত করিতে হ’ল ! শেষে রাম বিভীষণকে লঙ্কার সিংহাসনে বসাইলেন । , হনুমানের মুখে রাবণের মৃত্যুসংবাদ পাইয়া সীতা প্রথমট যেন হতবুদ্ধির ন্যায় হইহা পড়িলেন ; কিছুক্ষণ র্তাহার মুখ দিয়া কথাই সরিল না । শেষে কতকট। সুস্থ হষ্টলে, তিনি বলিলেন, “বাছা, আজ তুমি যে স্ব-খবর দিলে, তাহার উপযুক্ত পুরস্কার দিতে পারি, আমার এমন কিছুই নাই ।” হনুমান বলিল, “মা, তোমাকে স্থখী দেখিতে পাইলাম, ইহাই আমার যথেষ্ট পুরস্কার । আমি আর কিছুই চাহি না ।”
পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।