পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লঙ্কাকাও "૧૭ এই কথায় সীতার কর্ণ যেন জুড়াইয়া গেল । ইহার পর তিনি মনে মনে কতই সুখের কল্পনা করিতে লাগিলেন । কিন্তু হায়! রামের কাছে আসিয়া যাহা শুনিলেন, তাহ অপেক্ষা রাক্ষসের হাতে মৃত্যুই বরং তাহার পক্ষে ভাল ছিল । রাম বলিলেন, “সীতা, আমার কাজ আমি করিলাম, এখন তোমার যেখানে ইচ্ছা যাইতে পার। এতদিন তুমি তুষ্ট রাবণের ঘরে ছিলে, সেখানে কি ভাবে বাস করিয়াছ, কিছুই জানি না। এ অবস্থায় আমি তোমাকে গ্রহণ করিতে পারি না ।” সীতা জীবনে অনেকু দুঃখ সহিয়াছেন কিন্তু রামের কথায় আজ র্তাহার বঞ্চ যেন ফাটয় গেল । তিনি কাদিতে কঁাদিতে বলিলেন, “লক্ষ্মণ, আর আমি সই করিতে পারি না ; আমার মৃত্যুই ভাল । তুমি আগুন জ্বালিয়া দাও!” সীতার দুঃখে লক্ষ্মণের তুই চক্ষে ধারা বহিতেছিল । তিনি আগুণ জালিয়া দিলে সীতা সেই আগুনে ঝাপাইয়া পড়িলেন। দেখিতে দেখিতে স্বয়ং অগ্নিদেব সেই ভয়ানক আগুনের ভিতর হইভে সীতাকে লইয়া বাহির হইলেন। কি আশ্চর্য, সাঁতুরি গায়ের কাপড়খনি পর্যন্ত পুড়ে নাই। অগ্নিদেব বললেন, “এমন সতী-লক্ষ্মী আর নাই। সাঁতার দেহে কিংবা মনে এক বিন্দু পাপ থাকিলে, আমি ইহাকে গ্রাস করিতাম।” তখন রাম আদর করিয়া সীতাকে গ্রহণ করিলেন । তারপর সকলে অযোধ্যায় ফিরিয়া আসিলেন । চৌদ্দ বৎসর পরে রাম, লক্ষ্মণ ও সীতাকে দেখিয়া লোকে আনন্দে নাচিয়া