পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরকাণ্ড রামের মত রাজা আর সীতার মত রাণী পাইয়া অযোধ্যাবাসিগণ যে কত সুখী হুইল, তাহ বলিয়া শেষ করা যায় না। ইহাতে রাজা-রাণীরই বা আনন্দ কত ! কিন্তু হায় ! চিরতুঃখিনী সীতার ভাগ্যে এ মুখ দেখিতে দেখিতে ফুরাইয়া গেল। রাজা হইবার কিছুকাল পরে রাম হঠাৎ একদিন শুনিতে পাইলেন যে, তিনি পুনরায় সীতাকে গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া প্রজাদের মধ্যে কেহ কেহ না কি তাহার, বিচার-বিবেচনার দোষ দিয়া থাকে । সীতায় সম্বন্ধে লোকের এইরূপ সন্দেহ রামের লক্ষে বজ্রের ক্ষায় আঘাত করিল। দারুণ শোকে ক্রমে তিনি বড়ই বিচলিত হইলেন এবং প্রজারঞ্জনের জন্য সীতাকে বনে রাখিয়া আসিতে লক্ষ্মণের প্রতি আদেশ করিলেন। হায়, অভাগিনী সীতা । না জানি, বিধাতা তাহার কপালে আরও কত দুঃখ লিখিয়াছেন! লক্ষ্মণ যখন পূর্ণগর্ভ সীতাকে মহর্ষি বাল্মীকির তপোবনে রাখিয়া কাদিতে কঁাদিতে চলিয়া আসিলেন, তখন সীতার হাহাকরে বনের পশু পক্ষীদেরও চক্ষু ভিজিয়া গিয়াছিল। মহর্ষি যদি সে সময়ে পিতার স্তায় স্নেহে তাহাকে আদর করিয়া না লইতেন, তাহ হইলে তাহার প্রাণরক্ষাই কঠিন হইয়া উঠিত ! সেই আশ্রমে সীতার দুইটি যমজ পুত্র হইল । ৰালীকি তাহাদের নাম রাখিলেন–কুশ ও লব। শিশু দুইটি একটু বড় হইলে, মুনি তাহাদিগকে যেমন নানা শাস্ত্র ও ধমুর্বিদ্যা শিক্ষা