পাতা:ছোটদের রামায়ণ - যোগীন্দ্রনাথ সরকার.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্তরাকাণ্ড ཤ འ༽ র্তাহারই আশ্রমে থাকি । আমাদের মায়ের নাম সীতা ।” সীতার নাম শুনিয়াই কৌশল্য মূৰ্ছিত হইয়া পড়িলেন। রামের কথা আর কি বলিব ! একদিকে কুশ ও লবকে দেখিয়া তাহার যেমন আনন্দ আর একদিকে বিনা দোষে সীতাকে ত্যাগ করিয়াছেন ভাবিয়া তেমনই বিষম পরিতাপ ! এই সুযোগে বাল্মীকি উঠিয়া দাড়াইয়া বললেন, “রাম, আমার অনুরোধে তুমি সীতাকে গ্রহণ কর । মা-লক্ষ্মীকে আর কষ্ট দিও না ” রাম তখন নিতান্ত করুণস্বরে বলিলেন, “দেব, সীতার প্রতি অবিচার করিয়া আমার বুক ফাটিয়া যাইতেছে ! প্রজাদের মুখ চাহিয়াই আমি এই অন্তায় কাজ করিয়াছি । তাহারা অসুখী না হইলে, আমি এখনই সীতাকে আদর করিয়া লইব ।” . রামের কথা শুনিয়া বাল্মীকি তখনই সীতাকে রাজসভায় আনাইলেন এবং সকলকে ডাকিয়া বলিলেন, “ইনিই মা জানকী । এমন সতী লক্ষ্মী আর হয় না। আমি অগ্নি সাক্ষ করিয়া বলিতেছি, ইহার দেহে কিংবা মনে বিন্দু মাত্র পাপ নাই। এ কথা যদি মিথ্যা হয় তবে আমার তপস্যার সমস্ত ফল যেন নষ্ট হইয়ু যায় | এখন আপুনার আপত্তি না করিলে রাম ইহাকে গ্রহণ করিয়া সুখী হইতে পারেন ।” অনেক দিনের পর সীতাকে দেখিয়া চারিদিকে যেন আনন্দের স্রোত বহিতে লাগিল । বাল্মীকির কথায় সকলেই সুখী, কেবল, কয়েকটি দুষ্ট লোক মাথা হেটু করিয়া রহিল । এই ব্যাপারে বেশ বুঝা গেল, সাঁতার সম্বন্ধে এখনও কোন