পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
জওহরলাল

যাইতে হইবে—পুলিশ পাহারায়। বাড়ীতে তাঁহার স্ত্রীর অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। প্রয়াগ ষ্টেশনে নামিলে স্থানীয় জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আসিয়া তাঁহাকে জানাইলেন যে, স্ত্রীর অসুস্থতার দরুণ কয়েকদিনের জন্য তিনি ছুটি পাইয়াছেন!

 জওহরলালের আত্মচরিত পাঠে তাহার এই নিদারুণ মানসিক দ্বন্দ্বের কথা অতি সকরুণ ভাবে পাঠকের অন্তরে আঘাত করে। এই দ্বন্দ্ব তাঁহার রাজনৈতিক জীবনের সঙ্গে তাঁহার সাংসারিক জীবনের সংঘর্ষ। বাহিরের কর্ম্মময় জগৎ তাঁহাকে এমন ভাবে ঘরের বাহিরে টানিয়া আনিয়া ছিল যে, তিনি স্বামী হিসাবে স্ত্রীর প্রতি যে গভীর ভালবাসা ও কর্ত্তব্য পোষণ করিতেন, তাহা প্রকাশ করিবার অবকাশটুকুও পাইতেন না।

 এই অনিচ্ছাকৃত কর্ত্তব্যহীনতা অতি নিদারুণ ভাবে তাঁহার অন্তরকে পীড়িত করিয়া তুলিত। বিশেষ করিয়া কমলার রুগ্ন অবস্থায় এই মানসিক দ্বন্দ্ব তাঁহার মনে তীব্র বেদনার আলোড়ন জাগাইয়া তুলিল। হয়ত, যাহারা দেশকে ভালবাসে, বিশেষ করিয়া সে দেশ যদি পরাধীন হয়, তাহাদের ভালবাসার আর কোন সামগ্রী থাকিতে নাই!

 স্ত্রীর সম্বন্ধে তাঁহার মনের এই দ্বন্দ্ব-সম্পর্কে তিনি আত্মচরিতে লিখিতেছেন—