পাতা:জওহরলাল - নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় (১৯৪৮).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১০২
জওহরলাল

মধ্যে দুজনেই উৎসুক আনন্দে অপেক্ষায় থাকিতাম, কবে আবার দেখা হইবে! দুজনে দুজনার কাছে নিত্যই যেন নূতন অদর্শন - আমাদের অনু-রাগকে নব-রসে সঞ্জীবিত করিয়া রাখিত—দুজনে দুজনার মধ্যে নিত্য-নূতন আনন্দের বস্তু আবিষ্কার করিতে লাগিলাম!”

 কারাগার হইতে কয়েকদিনের মুক্তি লাভ করিয়া তিনি তখন স্ত্রীর বিদায়োম্মুখ পাণ্ডুর মুখের দিকে চাহিয়া নিজেকে অপরাধী বোধ করিলেন। মনের মধ্যে ক্ষণে ক্ষণে এক প্রশ্ন জাগে, কমলা যদি আর সারিয়া না উঠে?

 এগারো দিনের দিন, পুলিশের গাড়ী আবার দরজায় আসিয়া দাঁড়াইল। ছুটির মেয়াদ ফুরাইয়া গিয়াছে-বন্দীকে আবার ফিরিতে হইবে বন্দিশালায়! যাবার সময় কমলা ইঙ্গিত করিয়া তাঁহাকে কাছে ডাকিলেন। জওহরলাল মাথা নীচু করিলে কমলা কাণে কাণে বলিলেন, শুনছি তুমি নাকি আমার অসুখের জন্যে সরকারের সঙ্গে আপোষ করবে? কখুনো না!”

 বীর নারীর এই বিদায়বাণী লইয়া জওহরলাল কারাগারে ফিরিলেন।

 কিছুকাল ডেরাডুন কারাগারে থাকার পর জওহরলাল আলমোড়ার কারাগারে স্থানান্তরিত