এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
জওহরলাল
১০৩
হইলেন। সেখানে শুনিলেন কমলার অসুখ বাড়িয়াছে, চিকিৎসার জন্য তাঁহাকে ভাওয়ালিতে আনা হইয়াছে। কিন্তু সেখানেও বিশেষ কোন সুফল না পাওয়ায়, কমলা স্বামীকে কারাগারে রাখিয়া য়ুরোপে চিকিৎসার জন্য যাইতে বাধ্য হইলেন। কমলা যখন ভাওয়ালিতে ছিলেন, তখন আলমোড়া হইতে জওহরলাল মাঝে মাঝে তাঁহাকে দেখিতে যাইতেন। তাহাও বন্ধ হইয়া গেল।
হঠাৎ সেপ্টেম্বর মাসে (১৯৩৫) জওহরলাল কারামুক্ত হইলেন—কমলা নাকি মৃত্যুশয্যায়! আকাশপথে জওহরলাল জার্ম্মানী যাত্রা করিলেন, কারণ কমলা তখন জার্ম্মানী ব্যাডেনউইলার নামক নগরে ছিলেন।
কুড়ি
য়ুরোপে আসিয়া রুগ্ন স্ত্রীর সেবার অবসরে জওহরলাল সাক্ষাৎভাবে সেই মহাদেশের ভিতর ও বাহির করিয়া দেখিয়া লইলেন। জগতের সমস্যার সহিত আলাদা করিয়া ভারতবর্ষকে দেখা, জওহরলালের কাছে অসার রাজনীতি। তিনি বরাবরই ভারতবর্ষকে জগৎ-সমস্যার একটা প্রধান অঙ্গরূপ দেখিয়া