আসিয়াছেন এবং কংগ্রেস নীতিতে এই বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গী হইল তাঁহারই দান। তাই সেদিন য়ুরোপে বসিয়া য়ুরোপের সেই ভয়াবহ ক্ষুধিত মূর্ত্তি দেখিয়া তিনি শিহরিয়া উঠিলেন।
আবিসিনিয়ার উপর ইতালীর অত্যাচার, স্পেনে ইতালী এবং জার্ম্মানীর গোপন সাহায্যে, ফ্রাঙ্কোর অভ্যুত্থান—এই সমস্ত ব্যাপারের মধ্যে তিনি স্পষ্ট দেখিলেন, গণতন্ত্রকে উচ্ছেদ করিবার জন্য এক মহাসমরের দাবানল জ্বলিয়া উঠিয়াছে—সমগ্র য়ুরোপ এক বৃহৎ আগ্নেয়গিরির মুখের উপর বসিয়া আছে—এখনি অগ্ন্যুদ্গার হইবে এবং তাহার লাভাস্রোত ভারতের গায়েও আসিয়া লাগিবে—ভারতবর্ষকে সেই বিরাট সমস্যা সম্বন্ধে আগে হইতে সচেতন করিয়া তুলিবার জন্য, তাহাকে সেই বৃহৎ বিপদের যোগ্য করিয়া তুলিবার জন্য এক নূতন কর্ম্মপ্রেরণা তাঁহাকে চঞ্চল করিয়া তুলিল—কিন্তু সেই সঙ্গে জীবনসঙ্গিনী কমলার কালব্যাধি তাঁহাকে আরও বিপন্ন করিয়া তুলিল—
১৯৩৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাস—তখন তিনি কমলাকে লইয়া লুজান শহরে ভারতবর্ষ হইতে সংবাদ আসিল, জাতীয় কংগ্রেস তাঁহাকে পুনরায় সভাপতি নির্ব্বাচিত করিয়াছেন—
তাঁহার দেশ তাঁহার স্বামীকে ডাকিতেছে অথচ তিনি তাঁহাকে তাঁহার রোগ-শয্যার পাশে ধরিয়া