রাখিয়াছেন—মহীয়সী নারী যেন তাহা বুঝিতে পারিয়া তাঁহার স্বামীকে মুক্তি দিলেন ২৮শে ফেব্রুয়ারী বিদেশে ভারতমাতার প্রিয়-কন্যা দেহত্যাগ করিলেন!
মৃতা-পত্নীর শবদেহ অন্তরে বহন করিয়া জওহরলাল ভারতের দিকে ফিরিলেন রাজনৈতিক কোলাহলের আড়ালে ব্যক্তিগত জীবনের সেই মহা-হাহাকার কোথায় তলাইয়া রহিল, কেহ দেখিল না!
ফিরিবার পথে রোম পড়িল। লুজান ত্যাগ করিবার সময় বিশেষ রাজদূত মারফৎ জওহরলাল সংবাদ পাইলেন, মুসোলিনী তাঁহাকে রোমে তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য নিমন্ত্রণ করিয়া পাঠাইয়াছেন। আবিসিনিয়ার অত্যাচার স্মরণ করিয়া জওহরলাল সে নিমন্ত্রণ ফিরাইয়া দিলেন।
যে বিমান-পোতে তিনি ফিরিয়া আসিতেছিলেন, তাহা নিয়ম-অনুসারে রোমে থামিল। পোত হইতে নামিতেই জওহরলাল দেখিলেন, ইতালীর সর্ব্বময় কর্ত্তার প্রতিনিধি তাঁহার জন্য দাঁড়াইয়া। মুসোলিনী তাঁহার সহিত দেখা করিতে চান, তাই তাঁহাকে লইয়া যাইবার জন্য তিনি আসিয়াছেন। গণতন্ত্রের চিরউপাসক বীর যোদ্ধা সেই নিমন্ত্রণের গৌরব প্রত্যাখান করিলেন। কিন্তু রাজদূত কিছুতেই তাহা মানিবেন না। একঘণ্টা ধরিয়া তাঁহার সহিত বাদানুবাদ হইল। কিন্তু জওহরলাল মুসোলিনীর নিমন্ত্রণ প্রত্যা-