খান করিয়াই চলিয়া আসিলেন। সেদিনকার সেই আমিই-জগতের-সব সেই মুসোলিনী হয়ত বুঝিয়াছিলেন, পরাধীন দেশেও স্বাধীন মানুষ জন্মায়!
ভারতে ফিরিয়া আসিয়া জওহরলাল পূর্ণ উদ্যমে কংগ্রেসের কাজে আত্মনিয়োগ করিলেন, কিন্তু কয়েক মাস যাইতে না যাইতে তিনি দেখিলেন, তাঁহার সহিত তাঁহার সহকর্ম্মীদের কোথায় যেন মানসিক বিচ্ছেদ ঘটিয়া গিয়াছে ওয়ারকিং কমিটির সদস্যদের সহিত সাক্ষাৎ ভাবে তাঁহার মতবিরোধ ঘটিতে লাগিল।
জাতীয় কাজের যে অংশ তিনি অধুনাকর্ত্তব্য বলিয়া জোর দিতে চান, তাহার সহকর্ম্মীদের মতে সে সব কাজ তত প্রয়োজনীয় বোধ হইল না। এই লইয়া তাঁহার সহিত তাঁহার সহকর্ম্মীদের একটা মানসিক বিরোধ ক্রমশঃ পাকিয়া উঠিল! তিনি স্থির করিলেন যে, কংগ্রেসের সভাপতিত্ব ত্যাগ করিবেন। কিন্তু পরে ভাবিয়া দেখিলেন যে, যদি তিনি এই সময় সভাপতিত্ব ত্যাগ করেন, তাহা হইলে সেই ব্যাপার লইয়া শত্রুপক্ষ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচারকার্য্যের সুযোগ পাইবে। অগত্যা তিনি এক বৎসর কাল সেই দায়িত্ব বহন করিলেন!
সেই সময় সহসা ভারতবর্ষে নূতন স্বায়ত্ত-শাসনবিধানের ফলে কিঞ্চিৎ প্রাণসঞ্চার হইল। কংগ্রেস নূতন শাসন-তন্ত্রে যোগদান করিবার প্রস্তাব গ্রহণ