বার
সেই বৎসরে (১৯২৮) ভারতবর্ষের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরিয়া চাহিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হঠাৎ যেন নানা দিক হইতে ভারতের রাজনৈতিক চেতনা সেই বৎসরে সজাগ ও সচেতন হইয়া উঠে। যেন অনেকগুলি দরজা একসঙ্গে কে খুলিয়া দিয়াছে। এতদিন জাতীয় আন্দোলনের ক্ষেত্রে একমাত্র কংগ্রেসের রাজনীতিই লোকচক্ষুর সামনে ছিল—সে বৎসর ভারতবর্ষ প্রথম ট্রেড-য়ুনিয়ন আন্দোলনের মারফৎ সাম্যবাদী রাজনীতি এবং তাহার স্বতন্ত্র সম্বন্ধে সচেতন হইল— অবশ্য ট্রেডয়ুনিয়ন আন্দোলন তাহার কয়েক বৎসর পূর্ব্ব হইতেই ভারতবর্ষে দেখা দিয়াছিল কিন্তু এতদিন তাহা যেন অস্পষ্ট হইয়া ছিল। মুক্তি-আন্দোলনে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকদের স্বার্থ ছাড়া, শ্রমিকদের স্বার্থের যে একটা বড় যোগ আছে, এবং নিরস্ত্র হইলেও সঙ্ঘবদ্ধ শ্রমিকদের হাতে মুক্তি-আন্দোলনের নানা অস্ত্র আছে, যাহা প্রয়োগ করিলে তাহারা শাসক সম্প্রদায়কে রীতিমত চিন্তিত করিয়া তুলিতে পারে, সেই বৎসরেই তাহা ভারতে প্রকট হইয়া উঠে। সেই সঙ্গে আর এক নূতন আন্দোলন মাথা তুলিয়া উঠে—যুবক আন্দোলন!