এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
জওহরলাল
জন্য আমার বা আমার জাতির কি ক্ষতি বা লাভ হইত—”
একমাস পরে মাথায় ব্যাণ্ডেজ বাঁধা অবস্থায় জওহরলালের জননী কারাগারে পুত্রের সঙ্গে দেখা করিতে আসিলেন। মাথায় সেই ব্যাণ্ডেজ, গর্ব্বের চিহ্নের মত বীর-জননী পুত্রকে দেখাইলেন। তাঁহার পরম গর্বের বিষয় যে, তাঁহার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে তিনি আঘাত বণ্টন করিয়া লইতে পারিয়াছেন!
বীর জননীর গর্ব্বে পুত্র কি সেদিনের লাঞ্ছনার জ্বালা ভুলিয়া গিয়াছিলেন?
আঠার
দীর্ঘ-মেয়াদের পর জওহরলাল ১৯৩৩ সালের অগাষ্ট মাসে কারাগার হইতে ছুটি পাইলেন, তাঁহার জননীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন বলিয়া তিনমাস আগেই তাঁহার কারামুক্তি ঘটে। জননীর শরীর একটু ভাল হইবার পর পণ্ডিত জওহরলাল কলিকাতায় আসিলেন। কলিকাতা হইতে ফিরিয়া গিয়া তিনি বিহার ভূমিকম্পের সাহায্যের জন্য চারিদিকে ঘুরিয়া অর্থ সংগ্রহ করিতে লাগিলেন।