একদিন সারাদিন ঘুরিয়া বেড়াইবার পর সন্ধ্যার সময় আনন্দ-ভবনে ফিরিয়া আসিয়া সবে বসিয়াছেন, এমন সময় দরজায় এক পরিচিত গাড়ী আসিয়া থামিল। গাড়ী হইতে একজন পুলিশ কর্ম্মচারী নামিল।
জওহরলাল হাসিতে হাসিতে তাঁহাকে বলিলেন, বৃহৎ দিনো কো আপকা ইন্তাজার থা!
পুলিশ-কর্মচারীটী একটু কুণ্ঠিত হইয়া বলিলেন, এবার আমরা ডাকি নি—ডাক এসেছে কোলকাতা থেকে—
মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস বাহিরে থাকার পর আবার জওহরলালকে ফিরিয়া যাইতে হইল কারাগারে-এবার কলিকাতায়—এবারেও দণ্ড হইল- দীর্ঘ দুই বৎসর-এইবার লইয়া সাতবার হইল!
প্রেসিডেন্সী জেলে কয়েকদিন রাখার পর তাঁহাকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে স্থানান্তরিত করা হইল। একটা ছোট্ট সেল, দৈর্ঘ্যে দশ ফিট, গ্রন্থে ছ' ফিট। ঘরের সাননে ছোট্ট একটু বারাণ্ডা, বারাণ্ডার ধারে নীচে খানিকটা খোলা জায়গা। সেই খোলা জায়গাটী ঘিরিয়া সাত ফিট উঁচু একটা পাঁচিল।
আলিপুরের কারাজীবন সম্পর্কে জওহরলাল তাহার আত্মচরিতে লিখিয়াছেন—