একজন শ্রেষ্ঠ কথা-শিল্পীর মতই জওহরলাল তাহার অন্তরের সেই বেদনাকে রূপ দিয়াছেন।
এই কথা উল্লেখ করিবার একটা বিশেষ তাৎপর্য্য এই যে, জওহরলালের মধ্যে যে সাহিত্যিক প্রতিভা তাহার রাজনৈতিক জীবনের আড়ালে চাপা পড়িয়া গিয়াছে, তাহা আমরা তাঁহার আত্মচরিতে এবং কন্যার নিকট লিপি আকারে লিখিত পৃথিবীর ইতিহাসে দেখিতে পাই।
উনিশ
আলিপুর জেলে কয়েক মাস বাস করার পর জওহরলালের স্বাস্থ্য একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল। কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হইয়া তাঁহাকে বায়ু পরিবর্ত্তনে পাঠাইবার ব্যবস্থা করিলেন, আলিপুর জেল হইতে ডেরাড়ুন জেলে। ডেরাডুন জেলের অভিজ্ঞতা জওহর লালের পূর্ব্ব হইতেই ছিল। তাই কলিকাতার ধূম্রল বায়ু হইতে পার্ব্বত্য পরিবর্ত্তনের আশায় তাঁহার মন উল্লসিত হইয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু ডেরাডুনে গৌঁছাইয়া দেখিলেন, আগে আগে তাঁহাকে যেখানে যেভাবে রাখা হইত, এবার তাহার পরিবর্ত্তন ঘটিয়াছে।