একটা অতি পুরাতন জীর্ণ গোশালা—একটু পরিষ্কার করিয়া তাঁহার বাসের ব্যবস্থা করা হইয়াছে।
অন্য সব কারাগার হইতে ডেরাডুনের কারাগারটীকে জওহরলাল পছন্দ করিতেন, তাহার কারণ তাহার কুঠরীর প্রাঙ্গন হইতে অদূরে পাহাড়ের চূড়াগুলি দেখা যাইত। কারাপ্রাচীরের বাহিরে উন্নতশির সেই গিরিশৃঙ্গগুলি তাঁহার মনকে টানিয়া রাখিত— দেহ আবদ্ধ থাকিলেও মন সেইটুকু দৃষ্টিসুখের মধ্য দিয়া একটা মুক্তির স্বাদ পাইত। কিন্তু এই নূতন পারিপার্শ্বিকের মধ্যে আসিয়া চারিদিকে চাহিয়া দেখিলেন, কোথাও পাহাড়ের কোন চিহ্নই দেখা যাইতেছে না!
কিন্তু সকলের চেয়ে বেশী তাঁহার মানসিক উদ্বেগের কারণ হইল—স্ত্রী কমলার স্বাস্থ্য। এখানে আসিয়া তিনি খবর পাইলেন যে স্ত্রীর স্বাস্থ্য আবার ভাঙ্গিয়া গিয়াছে এবং পুরাতন ব্যাধি আবার তাহাকে পাইয়া বসিয়াছে। এই সময় যদি তিনি তাঁহার নিকটে থাকিতে পারিতেন, তাহা হইলে হয়ত সেই রোগক্লিষ্টা নারী ব্যাধির সহিত সংগ্রাম করিবার শক্তি পাইত।
এই রকম মানসিক দুশ্চিন্তার মধ্যে যখন তাঁহার দিন কাটিতেছিল, সেই সময় হঠাৎ একদিন জেলের কর্তৃপক্ষ আসিয়া জানাইলেন যে, তাঁহাকে এলাহাবাদে