পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্য। আকবর সার শয়নাগার জাহাঙ্গীরের প্রবেশ, নুরজাহান দ্বারে দণ্ডায়মান। (জাহাঙ্গীর ছুরিকা উত্তোলন করিয়া আকৃবরের নিকট আস্তে আস্তে গমন। যেমন জাহাঙ্গীর আকৃবরের বক্ষঃস্থলে ছুরিকা আঘাত করিতে গেলন, অমনি হস্ত কম্পিত হইয়া ছুরিকা পতন এবং আকৃবরের নিদ্রাভঙ্গ ।) আক্ৰ। সেলিম, এই গভীর রাত্রে কি নিমিত্ত তুমি আমারনিকটে আসিয়াছ ? তোমার হঠাৎ কি কোন পীড়া উপস্থিত হই, য়াছে ? কেন বৎস, ধৃত দস্থ্যর ন্যায় তোমার শরীর কম্পিন্ড হইতেছে ? ভূমি কি কোন গর্হিত কৰ্ম্ম করিয়াছ ভাই আমার নিকট ক্ষম। প্রার্থনা করিতে আসিয়াছ ? (হঠাৎ চমৎকৃত হইয়া) একি! ছরিকা এখানে কে নিয়ে এল ? সেলিম, এ তোমারই কাজ। তুমিই সেই পিশাচীনির প্রণয়ে বদ্ধ হইয়া, বৃদ্ধ পিতাকে বধ করিতে উদ্যত হইয়াছ। সেলিম, এখনি আমি তোমার প্রাণ বিনাশের আজ্ঞা দিতাম, কিন্তু বাল্যকালাবধি আমি তোমায় প্রাণের তুল্য ভাল বাসিতাম। ভাই আজ তোমার প্রাণ রক্ষা হইল। ঘরজায় কে আছিস্ ? প্রহরী। মহারাজ আজ্ঞা করুন (প্রহরীর প্রবেল)। আকবর। এ কে একটি ঘরে বন্ধ করে রাখগে (জাহাঙ্গীরের প্ৰতি) বাও, সেলিম চিরকালের নিমিত্ত কারাগারে বাস कब्रt?ों ।