পাতা:জগজ্জ্যোতি বা নুরজাহান.pdf/৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩১ ] মধ্যে শের আকগান আমাকে বিবাহ করে নাই ইহাকেই বা শীঘ্ৰ বিশ্বাস করিবে ? জাহা । এস, তোমার সহিত একবার সিংহাসনে বসিয়া জীবন সার্থক করি (জাহাঙ্গীর নুরজাহানের হস্ত ধরিয়া সিংহাসনে উপবেশন ) | প্রহরী। মহারাজ, একটি ভৈরবী রাজসভায় আসিবার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করিতেছে। জাহা । আচ্ছা, তাকে আসতে বল। (ভৈরবী রাজসভায় প্রবেশ করিয়া গান করিতে করিতে অপর দ্বার দিয়া গমনোদ্যত ) রাগিনী পাহাড়িয়া তাল আড়াঠেকা । নাথ, অরণো তোমারে ছাড়ি করিয়া গমন, ভাবিলাম মনেতে আমি, ভ্যজিবে তুমি জীবন। পিতার আদেশ তরে, ত্যজিয়া প্রিয় জনেরে, হুঃখিত অস্তরে আমি করিতেছি কালযাপৃন। পেয়ে নব প্রিয়সীরে, আছ প্রফুল্প অস্তরে, শুনি মুখ পারাবারে, হতেছি নাথ সদা মগন । লয়ে নুরজাহানীরে বলেছ সিংহাসনোপরে, দেখিতে মিলন শোভা এসেছি আমি এখন । জাহা। অ্যা, এ যে দেখচি আমার সেই মনোরমা। মনোরমে, ভূমি যেওনা, একবার ভূমি আমার সঙ্গে কথা কহিয়া যাও। আমি তোমার পিতার জাঙ্গ আর লঙ্ঘন করিতে অনুরোধ করিব না, প্রেমের কথাও আর তোমার বলিব না (মনোরম। জাহাঙ্গীরের প্রতি ফিরিয়া ঘোড় হস্ত করিয়া প্রস্থান)