পাতা:জাগরণী - যতীন্দ্রমোহন বাগচী.pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২ বৈশাখ samurmus হে নবীন, হে বন্ধু বৈশাখ ! মহাকালকুণ্ডলীর আজি তুমি খুলিলে যে পাক নূতন করিয়া ধারণীতে, সে যেন প্রত্যক্ষ হয়। ভারতের অদৃষ্ট-গ্রন্থিতে । উদ্দেশ্য তোমার নাহি জানি ; তবু যেন মনে হয়, একটী বন্ধন নিলে টানি।” লাঞ্ছিতের চিরনাগপাশে ; মুক্তির ইঙ্গিত যেন আজিকার মুক্তাকাশে ভাসে ; তোমার প্রখর রৌদ্রালোকে পুঞ্জ অন্ধকার যত, মিথ্যা হয়ে দেখা দেয় চোখে ! শীতের শিশির-শীর্ণ আশাবসন্তের বনে সাহা পুস্পমুখে পেয়েছিল ভাষা, আজি হেরি, তোমার পরিশে। পরিপূর্ণ ফলরূপে ভরিয়া উঠিতে চায় রসে ; বিমুগ্ধ মালয় অবসানে, উষ্ণ সমীরণ তব তন্দ্ৰবেশে জাগরণ হানে ; সুচিরসঞ্চিত বাস্পারাশি, তোমার প্রথম মেঘে বৃষ্টিরূপে দেখা দেয় আসি ; তপঃক্লিষ্ট তব মৃত্তিকায় । তোমার আশীষ লভি সিদ্ধি-শস্য অকুরিতে চায়।