পাতা:জাগরণী - যতীন্দ্রমোহন বাগচী.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যেথায় নিভৃত প্ৰান্তে অরণ্যের প্রশান্ত সীমায় অমৃতের পুণ্য ফন্তু শব্দহীন ধীরে বয়ে যায়!

যে‘অতুল-স্নেহচিত্র আঁকিয়াছ কুটীর-অঙ্গনে, তুলনা তাহার, কবি! হেরি নাই কাভু এ নয়নে; নিকুঞ্জের পরভৃৎ। শিখিতে পারনি পোষা বুলি, ধনীর উদ্ধত দৰ্পে কণ্ঠ তব যায় নাই ভুলি সহজস্বভাব দত্ত প্ৰকৃতির অজেয় সম্মান, কুহু কুহু করি'তাই ধিক্কারি' করেছ প্ৰত্যাখ্যান— যা কিছু অন্যায় মন্দ পড়িয়াছে আঁখির সম্মুখে, বিনিময়ে বিষদিগ্ধ তীক্ষ্ম শরা পাতি লয়ে বুকে!

বাণীর বরেণ্য পুত্র! বাঙ্গালীর কলকণ্ঠ কবি! আজি তুমি কথাশেষ-মধু অন্তে মুদিত মাধবী। রোগে শোকে দুঃখে দৈন্যে বুক চিরে ছিড়ে ফেলে’ গ’ল৷ শুনাতে চেয়েছ-থাক-কি কাজ সে কথা ফিরে” বলা! শুধু জানি আমাদের ছেড়ে তুমি চলে’ গেছ আজ কাব্যের অমৃতলোকে-যেথায় দৈন্যের নাহি গ্লানি, আপনি সাধিয়া যেথা দীন হন্তে দেবী বীণাপাণি সাজিছেন বর রত্নে, কুকুম’ ‘কন্তুরি করে ধরি 'চন্দনী’ও‘ফুলরেণু বক্ষে পরি'ত্ৰিলোকসুন্দরী