পাতা:জাগরণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথিবীর মানষে এতদিন মোহান্ধ হয়ে নিশ্চিন্তে গা-ভাসিয়ে চলছিল। আজ মোহমগধ মানষের সক্ৰিবৎ ফিরে এসেছে । আমরা ত আর উট পাখীর মত বালিতে মািখ গজে থাকতে পারি না, অন্ধকার থেকে আলোয় ফিরে যাওয়ার জন্য সচেন্ট হতেই হবে। সর্বত্র যে-জাগরণের উৎসব শহর হয়েছে, আমাদেরও তাতে অংশ নিতে হবে। জাগরণ ; সবাই চায় দেশে জাগরণের বন্যা বয়ে যাক। পাব আকাশের লাল সাষের দিকে ছাঁটে যাক দলে দলে কাতারে কাতারে শোষিত লাঞ্ছিত নিযতীতের দিল । রে-সাহেব বলিলেন-দেশের মানষ হতাশা আর হাহাকারের মধ্যে দিনের পর দিন বছরের পর বছর কাটিয়ে সত্যই হাঁপিয়ে পড়েছিল। আজ তারা মনে-প্ৰাণে এমন এক পরিবর্তনের প্রত্যাশায় পথ চেয়ে উন্মখ হয়ে বসে যা তাদের ক্ষধার অন্ন, আর উন্মত্ত বাতাস যোগাবে। আলেখ্য তাহার পিতার আচরণে নতন করিয়া বীতশ্রদ্ধ হইল। তাঁহার কথায় সে অন্ততঃ এইটুক, সিদ্ধান্ত লাইতে পারিয়াছে, তাহার পিতার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রহিয়াছে যার ফলে ইন্দ, এমন জঘন্যতম। অপরাধ করিতেও দ্বিধা করে নাই। ইন্দর প্রসঙ্গ উল্লেখ করিয়া আলেখ্য রাগে-দুখে-অপমানে গজ গজ করিতে করিতে ব্ৰজবাবকে উদ্দেশ্য করিয়া বলিল-আমাদের সংস্রব যদি ইন্দর পছন্দ না হয়ে থাকে, তবে সে আমাকে সরাসরি বললেই পারত । আমি না হয় তার পাটনায় যাওয়ার যাবতীয় ব্যবস্থা করে দিতুম । কিন্তু এতগলে লোকের মাখে কালি দিয়ে বিপথগামী হওয়ার এমন कि प्रक्षकब्र छिन ? ব্ৰজবাব মিলান হাসিয়া বলিলেন-এ কেমন কথা বললে দিদিমণি । বলে কয়ে কেউ গািহত্যাগ করতে পারে, নাকি কোনদিন তাকে কেউ সমর্থন করে ? যাক, ইন্দর প্রসঙ্গে আলোচনা করে আর ব্যথা কাল ক্ষয় করার ইচ্ছে নেই ম্যানেब्राबाद ! आभौद्ध काळून आज भाऊ ! কমলকিরণ ইন্দর আকস্মিক কািকমের উল্লেখ করিয়া তাহার পিতাকে টেলিগ্রাম BBD DBDDBDSS BDBD DzD DDD S DBBBSS DBBD BBuSDB BD হইতে শীঘ্রই আসিতেছেন। ইতিমধ্যে আলেখ্য কমলকিরণকে লইয়া ইন্দর খোঁজে গিয়াছিল। কিন্তু দুভাগ্য বশতঃ তাহার দেখা পায় নাই । সে অমরনাথের ভগ্নীর সাহিত দলের কাজে কোথায় যেন গিয়াছে । বিভিন্ন স্থানে স্বদেশীদের তিন চারটি সভা সারিয়া ফিরিতে সন্ধ্যা হইয়া যাইবে । অমরনাথাও বাড়ি ছিল না যে, বেশ করিয়া মনের ঝাল মিটাইয়া আসিতে পারিত। তাই আলেখ্যকে হতাশা হইয়াই ফিরিয়া আসিতে হইয়াছিল । তবে অমরনাথের বিধবা মা তাদের যথেষ্ট আদর যত্ন করিয়াছিলেন। আলেখ্য তাঁহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিয়া জানিয়াছিল, অমরনাথের দলে নাম লিখাইয়া ইন্দ সক্ষপণ নািতন এক জগতে পদাৰ্পণ করিয়াছে। সবদেশী আন্দোলনের কাজে মন-প্ৰাণ সপিয়া দিয়াছে। উদয়ন্ত কঠোর পরিশ্রম করিতে হয়। দাম ফেলাইবার সময় পায় না। আলেখ্য আরও একটি সংবাদ শনিয়া যাহাতে তাহার SS