পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

खुङ्गाडिाङाल । ‘ন বিশেষোস্তি বর্ণনাং সৰ্ব্বং ব্ৰাহ্ম মিদং জগৎ । ব্ৰহ্মণ পূৰ্ব্বসৃষ্টংহি কৰ্ম্মভিঃ বৰ্ণতং গতং।” : ; অর্থঃ-বৰ্ণভেদ নাই, সমস্ত জগতে এক ব্ৰাহ্মণ মাত্র ব্ৰহ্ম কর্তৃক পূর্বে স্বাক্ট হইয়াছিলেন, তৎপরে কৰ্ম্মৈর বিভিস্নাত বশতঃ বর্ণের বিভিন্নতা প্ৰাপ্ত হইয়াছেন।” এতদ্বারা ইহাই প্রমাণ হইতেছে যে, বৰ্ত্তমান জাতিভেদপ্ৰথা কৰ্ম্মের বিভিন্নত বশতঃ অভূদিত হইয়াছে। সমগ্ৰ ঋগবেদ খানি মনোযোগ পূর্বক পাঠ করিলেও ইহার প্রমাণ প্ৰাপ্ত হওয়া যায়। ঋগ বেদের প্রাচীনতম স্ত্ৰ সকল পাঠ করি।-- লেই সর্বত্ৰ “আৰ্য্য” এবং “দসু্য” এই দুই শ্রেণীর লোকের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । মন্ত্ৰ-কীৰ্ত্ত ঋষির আগ্রহ সহকারে প্রার্থনা করিতেছেন “হে ইন্দ্ৰ ! তোমার শুভ্ৰবৰ্ণ বন্ধুদিগের সহায় হও, এবং কৃষ্ণ বর্ণ ত্বকৃকে নিঃশেষ কর।” ইন্দ্রের প্ৰশংসাৰ্থ তাহাকে “সুশিপ্রি” শোভন-নাসিকাযুক্ত বলিয়া সম্বোধন করা হইতেছে। এবং দাসু্য বলিয়া যাহাদিগকে বর্ণন করা হইতেছে, তাহাদিগের প্রতি “নাসিকা বিহীন” ছাগের ন্যায় নাসিকা-বিশিষ্ট, আম মাংসাশী প্ৰভৃতি ঘূণা, সুচক শব্দ সকল প্রয়োগ করা হইতেছে। এই উক্তি পরম্পরাকে একত্ৰ সমাবেশ করিয়া দেখিলে কি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না যে, যে সময়ে এই সকল বেদ মন্ত্র রচিত হইয়াছিল, সে সময়ে ভারতসমাজে দুই শ্রেণীর মানব বিদ্যমান ছিল, এক শ্রেণীর লোক গৌর বর্ণ শোভন নাসিকাযুক্ত