পাতা:জাতিভেদ - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

百计侍死丐况1 s মধ্যে সোম যজ্ঞ ও অগ্নির উপাসনা প্রভৃতি প্ৰচলিত ছিল। বর্তমান পারসীকদিগের প্রাচীন ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রে এই গুলির উল্লেখ দৃষ্ট হয়। পণ্ডিতেরা প্ৰভূত গবেষণা দ্বারা স্থির করিয়াছেন যে বৰ্ত্তমান হিন্দুগণের ও বর্তমান পারসীকদিগের পূর্ব পুরুষগণ ভারতবর্ষে প্রবেশের পূর্বে একত্ৰ বাস করিতেন । সুতরাং অগ্নির উপাসনাদি সেই সময়কার ধৰ্ম্মানুষ্ঠান হইবে। যাহা হউক অতি প্ৰাচীনতম কাল হইতে অগ্নির উপাসনাদি ও তদৰ্থ রচিত মন্ত্র সকল দৃষ্টিগোচর হয়। আৰ্য্যেরা যখন অত্যুন্নত গিরিমণ্ডিত, বহুনাদ পরিধৌত, ও শস্যশালী-শ্যামল-ক্ষেত্র-পূর্ণ ভারতবর্ষে প্ৰবেশ করিলেন, তখন এখনকার প্রকৃতির গম্ভীর ও মনোরম ভাবসকল সন্দর্শন করিয়া তাহদের চিত্তে কবিত্ব শক্তির সমধিক আবির্ভাব হইতে লাগিল। যখন তাহারা উষাকালে নিবেদিত সুৰ্য্যের তরল কিরণচ্ছটা দ্বারা অনুরঞ্জিত নীলাকাশ দেখিতে লাগিলেন, যখন নিদাঘের প্রখর তাপের পর প্রাবৃটিকালের নব মেঘমালার ঘন নীলিমা প্ৰত্যক্ষ করিলেন, যখন গিরিপৃষ্ঠা হইতে অবতীর্ণ বন্যা সমূহের কল্লোলিত জলরাশি নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন, তখন তঁহাদের হৃদয় সাগরে অপূর্ব ভাবতরঙ্গ সকল উখিত হইতে লাগিল এবং মস্ত্রের পর মন্ত্র সকল রচিত হইতে লাগিল। ঋগ্বেদ এই সকল কবিত্ব রসপূর্ণ সঙ্গীত লহরীর সমষ্টি মাত্র। ইহার স্থানে স্থানে কবিত্ব কি সুন্দর! কি আশ্চৰ্য্য, প্রকৃতির সৌন্দৰ্য্য গ্রহণের শক্তি! কি