পাতা:জাতীয় সাহিত্য.djvu/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গসাহিত্যের ভবিষ্যৎ NOG DD SDD DBBB BB DDDBDDS BBBDB BD Du DuDDDS BBB OBDBD DBuB দেশবাসিগণ আচারে ব্যবহারে, কথায় বাত্তায় চালচলনে প্রকৃত বাঙ্গালীর মতন হইবে । কবে দেখিব, দেশের যাঁহারা মািখপাত্নস্বরপ, সমাজের যাঁহারা নেতা, বঙ্গভাষা তাঁহাদের আরাধ্য দেবতা ! কবে শনিব, শিক্ষিত বাঙ্গালী আর এখন বণ্ডগোলা ভাষায় সম্পূর্বসমক্ষে কথা বলতে বা প্ৰকাশ্য সভাসমিতিতে বঙ্গভাষায় বস্তুত করিতে সঙ্কোচ বোধ করেন না, বা বঙ্গবাসী নিজেকে বঙ্গভাষার সেবকরুপে পরিচয় দিতে কুষ্ঠিত হন না । আজ ভাবিতেও শরীর কণ্টকিত হয়, নয়নে আনন্দাশ্র উদ্ভূত হয় যে, সে সাদিন আসিয়াছে, আমার সেই আবাল্যাধোয় সসময় আজ আমার সামখে বিত্তমান । একদিকে, দেশের যাঁহারা ভবিষ্যৎ আশার স্থল, যাঁহাদের বিবেচনার উপর বঙ্গদেশের অদষ্ট নিহিত, সেই শিক্ষাথী। যবেকগণ আজকাল বিশববিদ্যালয়ে রাজভাষার সাহিত বঙ্গভাষারও আলোচনা করিতেছেন ; আর দ'দিন পরে যাঁহারা ইচ্ছা! করিলে, তাজনীহেলনে দেশের লোক-মন্ত পরিচালনা করিতে পরিবেন, সেই যবেকবলদ বঙ্গভাষার চচ্চায় মনোনিবেশ করিয়াছেন । বিশববিদ্যালয়ে বঙ্গভাষার আসন পড়িয়াছে ! দেবতদ্বীপের মাতৃভাষার পাবে আমার বর্গের শেবতশতদলবাসিনীর সিংহাসন স্থাপিত হইয়াছে । আর ঐ দেখ, অন্যদিকে যাঁহারা লক্ষীর বরপত্র, সৌভাগ্যদেবতার আদরের সন্তান, তাঁহারাও বঙ্গভাষার সেবায় আত্মনিয়োগ করিয়াছেন । বণ্ডেগর তথা বঙ্গভাষার ইহা পরম কল্যাণের কথা । বাঙ্গালীর ইহা পরম মাহতন্দ্ৰক্ষণ । কয়েক মাস পৰোব উত্তরবঙ্গা-সাহিত্য-সাশমলনের* অভিভাষণে আমি জাতীয় সাহিত্যগঠন-প্রসঙ্গে বলিয়াছিলাম, "দেশের জনসঙঘকে যদি সৎপথে লইয়া যাইতে হয়, মানষে করিয়া তুলিতে হয়, বাঙ্গালী জাতিকে একটা মহা জাতিতে পরিণত করতে হয়, তাহা হইলে, তাহাদিগের মনের সম্পদ যাহাতে উত্তরোত্তর বন্ধিপ্রাপ্ত হয়, তাহা করিতেই হইবে । পাশচাত্ত্য ভাষায় অনিপাণ থাকিয়াও, যাহাতে বঙ্গের ইতার-সাধারণ, পাশচাত্ত্য প্রদেশের যাহা উত্তম, যাহা উদার এবং নিম্পমাল, তাহা শিখিতে পারে, এবং শিখিয়া আত্মজীবনের ও আত্মসমাজের কল্যাণ-সাধন করিতে পারে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে । পাশ্চাত্ত্য শিক্ষার মধ্যে যাহা নির্দোষ, আমাদের পক্ষে যাহা পরম উপকারক, যে সমাদয় গণগ্রাম অজািন করিতে পারিলে, আমাদের সম্পদর সমাজদেহ ও দেশাত্মবোধ আরও সন্দেরতর, সন্দরতম হইবে,