পাতা:জাতীয় সাহিত্য.djvu/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sq জাতীয় সাহিত্য ঐ পড়িয়া আছে-ভারতে আবার সেই সাহিত্যিক একতা, মনীষার সম্মেলন একপ্রকার অসম্ভব, একথা বলিলে চলিবে না । সেই হারানো ধন আবার ফিরিয়া পাইতে হইবে ; বাঁচিয়া থাকিতে হইলে, সেই লপ্তরিত্নের পনরক্ষাধার করিতে হইবে । কালের বশে চলিয়া আমাদিগকে কালজয়ী হইতে হইবে । বঙ্গসাহিত্যের একনিষ্ঠ সাধকগণকে উদাত্ত-কণ্ঠে গাহিতে হইবে “কে বলিল পান পাবে না। তায় ? হারানো মাণিক পাওয়া কি না যায় ? হয়, যায়, আসে মায়ার ভাবে, রাহগ্ৰস্ত ছায়া ক'দিন রবে ? এ জগত-মাঝে করো না ভয়, সাহস যাহার তাহাটির জয় ; দেখো না, দেখো না, দেখো না পাছে, আগে দেখ আর কত দ’র আছে ; ঐ দেখ দরে ভারতী-মন্দিরে উড়িছে নিশান ভারত-তিমিরেকরাহ সাধনা-পাইবে ফিরে ৷” --হেমচন্দ্র । একদিন যেমন বৈদিক সাহিত্য শিক্ষিত ভারতবাসীর আত্মসাহিত্য ছিল, আজ বঙ্গসাহিত্যকে সেইরূপ সমগ্ৰ ভারতের আত্মসাহিত্য করিতে হইবে। জানি, এ কথায় হঠাৎ আস্থা স্থাপন করা বড়ই দলেকর ; সবীকার করি, কথায় যাহা বলা যায়, কায্যে তাহা পরিণত করা সর্বদা সম্পভবপর নহে,-কিন্তু চেষ্টায় ত দোষ নাই। মানষের সামথ্য যে কত, একদল মানষে অথবা একটা মানষি যে কত কাজ করিতে পারে, তাহা যদি মানষে নিজে বঝিতে পারিত, আত্মসত্তায় যদি মানষি বিশ্ববাস করিতে জানিত, তবে নিরজাতির অবস্থা হয় ত আরও বিস্ময়করী হইত, জগৎ মধ্যময় হইত । আজ এক বার ক্ষণকালের জন্য আমাদিগকে বঙ্গের মানচিত্র গটাইয়া রাখিয়া, ভারতের মানচিত্রে দন্টিসংযোগ করিতে হইবে। কলবাহিনী ভাগীরথীর তীরে দাঁড়াইয়া একবার নম্পমন্দা-সিন্ধা-কাবেরীর স্রোতে মানসাস্নান করিতে হইবে । শ্যামা বঙ্গভূমির কোলে বসিয়া শৌৰ্য্যবীয্যের সমাধিক্ষেত্র রাজপতনার গভীর মাত্তি দেখিতে হইবে । কি করিলে, কোন পথে চলিলে, আমার বঙ্গভারতীকে