কারণ, ঘটিবাটির উপযোগিতা মানুষের প্রয়োজনের পরিচয় মাত্র কিন্তু তার সৌন্দর্য্যে মানুষের নিজেরই রুচির নিজেরই আনন্দের পরিচয়। ঘটিবাটির উপযোগিতা বল্চে মানুষের দায় আছে, ঘটিবাটির সৌন্দর্য্য বল্চে মানুষের আত্মা আছে।
আমার না হলেও চল্ত, কেবল আমি ইচ্ছা করে করচি এই যে মুক্ত কর্ত্তৃত্বের ও মুক্ত ভোক্ত্তৃত্বের অভিমান, যে অভিমান বিশ্বস্রস্টার এবং বিশ্বরাজেশ্বরের,―সেই অভিমানই মানুষের সাহিত্যে এবং আর্টে। এই রাজ্যটি মুক্ত মানুষের রাজা, এখানে জীবনযাত্রার দায়িত্ব নেই।
আজ সকালে যে প্রকৃতি সবুজ পাড়-দেওয়া গেরুয়া নদীর সাড়ি পরে’ আমার সাম্নে দাঁড়িয়েছে, আমি তাকে দেখচি। এখানে আমি বিশুদ্ধ দ্রষ্টা। এই দ্রষ্টা আমিটী যদি নিজেকে ভাষায় বা রেখায় প্রকাশ করত, তাহলে সেইটেই হত সাহিত্য, সেইটেইই হত আর্ট খামকা বিরক্ত হয়ে এমন কথা কেউ বলিতে পারে “তুমি দেখ্চ তাতে আমার গরজ কি? তাতে আমার পেটও ভরবে না, আমার ম্যালেরিয়া ও ঘুচবে না, তাতে আমার ফসল-ক্ষেতে বেশি করে ফসল ধরবার উপায় হবে না।” ঠিক কথা। আমি যে দেখচি এতে তোমার কোন গরজ নেই। অথচ আমি যে শুদ্ধমাত্র দ্রষ্টা, এ সম্বন্ধে বস্তুতই যদি তুমি উদাসীন হও—তাহলে জগতে আর্ট এবং সাহিত্য সৃষ্টির কোনো মানে থাকে না।
আমাকে তোমরা জিজ্ঞাসা কর্তে পার, আজ এতক্ষণ ধরে’