পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৫৫

অষ্টম পরিচ্ছেদ S&} করিয়া উঠিল ; তাহার সেই সুদীর্ঘ কর্কশ কণ্ঠস্বর যেন কোনও অনাগত অমঙ্গলের স্বচন বলিয়া আমার মনে হইল। কতক্ষণ এই ভাবে কাটিল, ঠিক বলিতে পারি না, কিন্তু চিন্তাভার ক্রমে অসহ হইয়া উঠিল ; আমি আর শয়ন করিয়া থাকিতে পারিলাম না, শয্যাত্যাগ করিয়া নিঃশব্দে সেই কক্ষ-মধ্যে পাদচারণ করিতে লাগিলাম ; ভাবিলাম, এরূপ করিলে হয় ত শীগ্র মিদ্র কর্ষণ হইতে পারে। সহসা আমার বোধ হইল, এক জন লোক অতি সস্তপণে আমাদের ঘরের দিকে আসিতেছে ! আমি দ্বারপ্রাস্তুে দণ্ডায়মান হইয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে সম্মুখে চাহিয়া রহিলাম ; ক্রমে সেই শব্দ আরও নিকটে আসিয়াছে বোধ হইল ; সঙ্গে সঙ্গে আমার বক্ষের স্পন্ন দ্রুততর হইয়া উঠিল! আমার মনে হইল, কেহ হন্তে ও পদে ভর দিয়া অতি ধীরে আমাদের দিকে অগ্রসর হইতেছে ! যে ব্যক্তি এত রাত্রে এত সাবধানে গোপন ভাবে আমাদের ঘরের দিকে আসিতেছে, তাহার অভিসন্ধি নিশ্চয়ই ভাল নহে। অন্ধকারে কিছুই দেখিতে পাইলাম না ; অল্পক্ষণ পরে বুঝিতে পারিলাম, একটি মনুষ্যমূৰ্ত্তি হস্তে ও জাস্থতে ভর দিয়া অতি সাবধানে আমাদের ঘরে উঠিবার চেষ্টা করিতেছে ! আমি আমার শয়ন কক্ষে শয্যার নীচে একখানি সুদীর্ঘ তীক্ষুধার ছোরা রাখিয়াছিলাম, ছোরাথানি সৰ্ব্বদাই আমার সঙ্গে থাকিত ; তাহা লইয়া পুনৰ্ব্বার স্বারের নিকট আসিলাম, কিন্তু স্বারপ্রান্তে কাহাকেও দেখিতে পাইলাম না ; অকম যে কক্ষে শয়ন করিয়াছিলেন, সেই কক্ষের দ্বারে দুই একুবার খটু খট্‌ শব্দ শুনিতে পাইলাম ।