পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টম পরিচ্ছেদ Ꮍ☾© অকুমা পাও-টঙ্গের হস্ত হইতে মশালটি লইয়া আমার পাশে আসিয়া দাড়াইলেন, আমাকে বলিলেন, “উহাকে ছাড়িয়া দাও।” আমি আততায়ীকে ছাড়িয়া দিয়া উঠিয়া দাড়াইলাম। অকুমা মশালের আলোকে আগন্তুকের মুখ দেখিয় তাহাকে বলিলেন, “তবে রে হতভাগ! তোর এই কাজ ? বুঝিয়াছি তুই চুরি করিতে আসিস নাই, লাঠি থাইয়া আমাদের গলায় ছুর দিতে আসিয়াছিস ; আমি আর কিছু কাল সাড়া না পাইলে তোর হস্তে আমার প্রাণ যাইত ।” বল বাহুল্য কয়েক ঘণ্টা পূৰ্ব্বে যে ভিক্ষুকটা পাও-টঙ্গের হস্তে ধনঞ্জয় লাভ করিয়াছিল, এ সেই হতভাগা ! পাও-টঙ্গ অকুমাকে বলিল, “আদেশ পাইলে আমি এখনই ইহার গদান লইতে পারি।” অকুমা পাও-টঙ্গের কথার কোন উত্তর না দিয়া প্রায় এক মিনিটকাল ভিক্ষুকটর মুখের দিকে স্থির দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন, তার পর তাহাকে কর্কশ স্বরে বলিলেন, “উঠিয়া দাড়া!” ভিক্ষুক দণ্ডায়মান হইল । ' অকুমা বলিলেন, “হ কর।” ভিক্ষুক মুখ ব্যাদান করিল। অকুম বলিলেন, “তোর হা অার বন্ধ হইবে ন! !” ভিক্ষুকটা মুখ বুজিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিল, কিন্তু সে মুখ বুলিতে পারিল না! হা.করিয়া সে ক্ষণকাল স্তম্ভিত ভাবে অকুমার মুখের দিকে চাহিয়া আহিল ; ভয়ে তাহার চক্ষু বিক্ষরিত হইল,