পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ ጏፃእ প্রান্তসীমায় উপনীত হইয়া আমি এই যুবতীর প্রেমে মুগ্ধ হইয়াছি ; অধিক বয়সে মানুষকে বাতে ধরিলে তাহার অবস্থা যেরূপ শোচনীয় হইয় উঠে, আমার অবস্থাও প্রায় সেই রূপ হইয়াছিল ; হাড়ের ভিতর পৰ্য্যন্ত বেদনায় টন টন্‌ করিতেছিল। মিঃ নসকি আমার এই ভাবান্তর লক্ষ্য করিলেন কি না, তাহ বুঝিতে পারিলাম না ; কিন্তু আমার ভাব দেখিয়াও যদি তিনি কিছু না বুঝিয়া থাকেন, তাহা হইলে তিনি যে অত্যন্ত স্থূল বুদ্ধির লোক এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে। সন্ধ্যার কিছু পূৰ্ব্বে, বাগান হইতে আমরা স্বরে উঠিয়া আসিলাম । দ্বার প্রাস্তে আসিয়া হেন সহাসে আমাকে বলিল, “আপনি বাগানে অনেকক্ষণ ছিলেন, ঠাণ্ড! লাগে নাই ত ? এখন আপনার শরীরের উপর বিশেষ দৃষ্টি রাখা আবশ্বক ; কিন্তু স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আপনি বড় উদাসীন।” আমি যে হঠাৎ স্বাস্থ্যবিধি ভগ্ন করিয়াছিলাম ইহা মনে হইল না, তথাপি হেনার এই মিষ্ট তিরস্কার শিরোধাৰ্য্য করিয়া আমি গৃহকক্ষে প্রবেশ করিলাম, দেখিলাম সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট চেয়ারখানি এক পাশে আমার জন্ত খালি রাখা হইয়াছে ; হেনার আগ্রহে সেই চেয়ারে আমাকেই বসিতে হইল। তাহার পর সে খানিকট গরম দুধ আনিয়া তাহ পান করিবার জঙ্ক আমাকে পীড়াপীড়ি করিতে লাগিল ।--নারী-চরিত্র, তোমাকে শত নমস্কার! আমার দুঃখ, অভিমান মুহূৰ্ত্তমধ্যে অস্তৰ্হিত হইল । o পরদিন আমি শরীরে আরও একটু বল পাইলাম, সে দিন স্বপরাহ্নে আমি বাগানে অনেক ক্ষণ বসিয়া ছিলাম ; মিঃ নসকি ও তাহার