পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S१२ জাল মোহাস্ত স্ত্রী হারুসান গৃহে কাৰ্য্যাস্তরে ব্যস্ত ছিলেন, সেই জন্য তাহারা আমার সঙ্গে বাগানে ধাইতে পারেন নাই । অামি বাগানে একাকী আছি বুঝিয়া হেন আমার কাছে গিয়া বসিল ; সেখানে অনেক ক্ষণ ধরিয়া আমাদের গল্প চলিল ; কথায় কথায় স্থির হইল, তাহার ভগিনীর অনুমতি লইয়া পর দিন অপরাহ্নে আমরা উভয়ে পিকিনের প্রাচীরে বেড়াইতে যাইব । পিকিনের প্রাচীর মিঃ নসকির বাসভবন হইতে অধিক দূরে নহে, বোধ হয় দশ মিনিটের পথ। পর দিন অপরাহ্নে স্বৰ্য্যোস্তের কিছু পূর্বে হেমাকে সঙ্গে লইয়া ‘পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য্যের এক আশ্চর্য্য, দেখিতে চলিলাম । পিকিনের পথগুলি একে অপ্রশস্ত, তাহার উপর প্রত্যেক পথে এত কুলি, গাড়ী, পালকী, ঘোড় ও উট, যে তাহার ভিতর দিয়া দ্রুত অগ্রসর হওয কঠিন । চলিতে চলিতে আমরা অসংখ্য ভিক্ষুক দেখিতে পাইলাম ; তাহাদের মধ্যে অন্ধ খঞ্জ ও অন্য রূপ বিকৃতাঙ্গের সংখ্যাও অল্প নহে । কতকগুলি অসভ্য ইতর চীনাম্যান আমাদের দু’জনকে একত্র চলিতে দেখিয়া দূরে দাড়াইয়া এমন কদৰ্য্য রসিকতা করিতে লাগিল যে, অতি কষ্টে আমি ক্ৰোধ সংবরণ করিলাম। পথে আধ ফুটের অধিক পুরু ধূলা, এক একবার উদাম বায়ু-প্রবাহে সেই ধূলা উড়িয়া আমাদের চোখ মুখ আচ্ছন্ন করিতে লাগিল ; পিকিনের রাজপথে পদব্রজে ভ্রমণের সুখ মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে অনুভব করিলাম ! যে সকল বিদেশী ভদ্রলোক সৌভাগ্যক্রমে কখনও পিকিনে আসেন নাই, ‘স্বৰ্গীয় নগরীর রাজপথের এইরূপ বর্ণনা তাহাদের নিকট অতিরঞ্জিত বোধ হইতে পারে ; কিন্তু যাহারা দুই চারি দিনের জন্যও এখানে