পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দশম পরিচ্ছেদ >b"> সিরোর সহিত আমার পরিচয় হইল। আমার আর হইয়াছিল শুনিয়া সে বলিল, “পিকিনে জর না হওয়াই আশ্চৰ্য্য ; এমন খারাপ জল-হাওয়া দুনিয়ায় আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ ; স্বয়ং যমও এখানে আসিলে জ্বরের জালায় পলাইবার পথ পায় না ! আমরা ত সামান্ত মানুষমাত্র, মরিবার জন্যই বাচিয়া আছি।” সিরোর এই রসিকতা কতক্ষণ চলিত ঠিক বলিতে পারি ন! । কিন্তু অকুমা হঠাৎ গম্ভীর স্বরে তাহাকে সম্বোধন করিয়৷ বলিলেন, *সিরো, এখন তোমার রসিকত রাখ, আমি তোমাকে পুনঃ পুনঃ বলিয়াছি, আমি এখানে আসিয়াছি এ সংবাদ কাহারও নিকট প্রকাশ করিও না ; কিন্তু তুমি আমার আদেশ পালন কর নাই, তোমার চীনা বন্ধুদের নিকট এ কথা প্রকাশ করিয়াছ! কেন আমার অবাধ্য হইয়াছ বল ।” সহসা মস্তকে বজ্ৰাঘাত হইলে, মানুষ যেমন নিম্পন্দ ভাবে শূন্ত দৃষ্টিতে দণ্ডায়মান থাকে, অকুমার কথা শুনিয়া সিরোর অবস্থাও প্রায় সেইরূপ হইল ; সে নিৰ্ব্বাক ভাবে দণ্ডায়মান রহিল । অকুমা পুনৰ্ব্বার বঞ্জ নির্ঘোষে বলিলেন, “বল, শীঘ্র আমার কথার উত্তর দাও।” সিরো একবার মুখ নাড়িল মাত্র, কিন্তু তাহার মুখ হইতে একটি কথাও বাহির হইল না । অকুম বলিলেন, “তুমি কত টাকা ঘুস লইয়। আমার শক্রপক্ষের নিকট এ কথা প্রকাশ করিয়া দিয়াছ ?” 领 সিরো একথারও কোন জবাব করিল না, সে ভরে ঠক্ ঠক্‌ করিয়া