পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ ২২৫ তুমি তোমার কুঠুরীতে ধাও, আমি নির্জনে কিছু কাল চিন্তা করিলেই কোন-না-কোন উপায় স্থির করিতে পারিব।” জামি দ্বিরুক্তি না করিয়া আমার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিলাম । অকুমা অনেক ক্ষণ পর্য্যস্ত চঞ্চল ভাবে গৃহমধ্যে ঘূরিয়৷ বেড়াইলেন ; তাহার পর আমাকে ডাকিয়া বলিলেন, "একটা উপায় স্থির করিয়াছি বটে, কিন্তু তদনুসারে কাজ করা অতি কঠিন ; তথাপি তাহাতে নিরুৎসাহ হইলে চলিবে না, কঠিন রোগেই উৎকট ঔষধের ব্যবস্থা করিতে হয় । এই দুষ্কর কার্য্য তোমাকেই করিতে হইবে ; যদি কৃতকাৰ্য হইতে পার তাহ হইলে আমাদের সকল বিপদ কাটিয়া যাইবে, অকৃত কাৰ্য্য হইলে আমাদের সর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী ! এক বার তুমি আমার জীবন রক্ষা করিয়াছ, "এবারও তোমাকে তাহা করিতে হইবে । তোমার প্রতি আমার সম্পূর্ণ বিশ্বাস আছে বলিয়াই তোমার হস্তে এই কঠিন কাৰ্য্যের ভার দিতেছি ; যদি তুমি আমার উপদেশান্থ সারে সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন করিতে পার, তাহা হইলে আর কোন ভয় থাকিবে না ; নতুবা আমাকে জীবিত দেখিতে পাইবে না। এখন যাহা করিতে হইবে তাহা বলিতেছি মন দিয়া শোন ; এখন রাত্রি প্রায় বারটা ; প্রতুলে সাড়ে পাচটার সময় উপাসনার প্রথম ঘণ্ট। বাজিবে, তাহার এক ঘণ্ট। পূর্বেই উষার আলোকে চারি দিক পরিষ্কার হইবে ; তাহার পূৰ্ব্বেহ সকল কাজ শেষ করিতে হইবে। আমি যেমন করিয়া পারি দশ.পনের মিনিটের মধ্যে তোমাকে এখান হইতে বাহির করিয়া দিব ; মঠের বাহিরে গিয়া তুমি যেমন করিয়া পার-পথে কাহারও ঘোড়া চুরি করিয়াপার,আর পদব্রজে দৌড়াইয়াই ) {