পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

స్చెలి రి জাল মোহান্ত এই পল্লীর অনেকেই যাত্রীদের ঘোড়া ভাড়া দিয়া জীবিকা নির্বাহ করে । নিশীথ রাত্রি, সকলেই নিদ্রাবোরে অচেতন ; সুতরাং ষোড়। সংগ্ৰহ করিতে আমার কিছুমাত্র অসুবিধা হইল না। এক জন ঘোড়া ওয়ালার আস্তাবলে গিয়া একটি ঘোড়া খুলিয়া লইলাম, সেই আস্তাবলে ঘোড়ার সাজও ছিল, অল্প চেষ্টায় তাহা ও হস্তগত হইল। এবার আমার প্রাণে আশার সঞ্চার হইল। পথে আসিয়া ঘোড়ায় চড়িলাম ; তাহার পর বায়ুবেগে রাজধানীর অভিমুখে ধাবিত হইলাম। রাত্রি অন্ধকারাচ্ছন্ন হইলেও উজ্জ্বল নক্ষত্রালোকে পথ বেশ দেখা যাইতেছিল, আমার চলিতে কিছুমাত্র অসুবিধ হইল না। পিকিনের প্রাচীরের নিকট উপস্থিত হইতে আমার প্রায় আধ ঘণ্টা লাগিল। " অকুমা আমাকে প্রাচীরের যে স্থানটির কথা বলিয়। দিয়াছিলেন, তাহার নিকটে উপস্থিত হইয় একটা গাছের ডালে ঘোড়াটিকে বঁধিলাম, তাহার পর প্রাচীরে উঠিবার চেষ্টা করিতে লাগিলাম । অকুম কাজটা যত সহজ মনে করিয়াছিলেন, আমি কাৰ্য্যক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়। দেখিলাম, তাহ তত সহজ নহে! আমি প্রাচীরের মিস্ত্রে দাড়াইয়। থাকিতে থাকিতে একবার উদ্ধাম নৈশ বায়ুর প্রবাহ হু হু শব্দে মাঠের উপর দিয়া বহিয়া গেল, সেই সঙ্গে ধূলিরাশি উড়িয়া আমার চোথ মুখ আচ্ছন্ন করিল। রাত্রি তখন ঝণক করিতেছিল, কোন দিকে জনমানবের সাড়া শব্দ পাইলাম না ; সুতরাং ধরা পড়িবার ভয় নাই বুঝিয়া আমি নিশ্চিস্ত হইলাম। অকুমা যে স্থানের কথা বলিয়া দিয়াছিলেন, সেখানে 'সত্যই কয়েকখানি প্রস্তর দাতের মত বাহির হইয়া আছে দেখিলাম ; কিন্তু তাহা এত সংকীর্ণ যে, তাহাতে পদস্থাপন