পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ জাল মাহান্ত এই নিস্তব্ধ নিশীথে এই যুগান্তব্যাপী বিশাল প্রাচীরের উপর দণ্ডায়মান হইয়া উদ্ধাকাশে জ্যোতিষ্মান সপ্তর্ষিমণ্ডলের দিকে চাহিয়া আমার মনে হইতে লাগিল, সে যেন কত যুগ যুগ পূর্বের কথা! আমার সেই মধুৱহৃদয়া, সরল, প্রেমবিহ্বল প্রিয়তমার সহিত জীবনে কি কখনও সাক্ষাৎ হইবে ? তাহার সহিত মিলনের কি কোনও সম্ভাবনা আছে ? আমি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিলাম ; মুক্ত প্রান্তর-প্রবাহিত সুশীতল নৈশ সমীরণ-প্রবাহ আমার ঘৰ্ম্মাঃ ত ব্যথিত কপোল শীতল করিতে পারিল না । কিন্তু এখন প্রেমের স্বপ্নে সময় নষ্ট করিবার অবসর নাই ; সম্মুখে ভীষণ পরীক্ষা উপস্থিত ! এক দিকে স্বাধীনতা, ভবিষ্যতের সাফল্য, জীবনের মুখ ; অন্য দিকে সহস্র বিপদ, কঠোর বন্ধন, যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু! আমি মনের আবেগ দমন করিয়া সোপানশ্রেণী অতিক্রম পূৰ্ব্বক প্রাচীরের নিয়ে অবতরণ কৰিলাম । একজন প্রহরী সেই নৈশ অন্ধকারে অদূরে কোথায় বসিয়া দুলিতে ছিল, আমি সোপান হইতে অবতরণ করিবামাত্র, সে একখানি সুদীর্ঘ বল্লম হস্তে কালান্তক যমের মত আমার সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । 響 অকুমার উপদেশ আমার মনে ছিল, আমি তাহাকে বলিলাম, “আমি একজন প্রজ, বিশেষ বিপদে পড়িয়াই অগত্য প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করিয়া নগরে প্রবেশ করিতে বাধ্য হইয়াছি, আমার কোন দুরভিসন্ধি নাই।”—সঙ্গে সঙ্গে কাহার হাতে একটি স্বর্ণমুদ্রণ' দিয়া বলিলাম, “এই রাত্রেই আমি এক জন রোজাকে লইয়৷ এই পথ দিয়াই ফিরিয়া যাইব,