পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ত্রয়োদশ প্ররিচ্ছেদ స్ప్రిలి কৰ্ত্তব্য। মুতরাং এই বিভ্ৰাট হইতে কিরূপে পরিত্রাণ লাভ করা যায় তাহার উপায় স্থির করিতে হইবে। যদি ইহারা আমাদের পূৰ্ব্বেই নদীতীরে উপস্থিত হইয়া উক্ত সংবাদবাহককে তাহাদের পত্র দিতে পারে, তাহা হইলে আমার সকল সঙ্কল্প ব্যর্থ হইবে, প্রাণও যাইবে । এ অবস্থায় যদি আমরা তাহাদের অগ্ৰে নদীতীরে উপস্থিত হইয়া সংবাদবাহককে বিদায় করিতে পারি,এবং তাহার পর কোনও কৌশলে শক্ৰ পক্ষের পত্ৰখানি হস্তগত করিয়া তাহাদিগকে পিকিনে ফেরত পাঠাইতে পারি, তাহা হইলেই আমাদের মঙ্গল ; কিন্তু কি কৌশলে এ উদ্দেশ্য সিদ্ধ হইতে পারে ?” আমি বলিলাম, “এ অতি দুরূহ কাৰ্য্য ; কোনও ফন্দীই আমার মাথায় আসিতেছে না ।" 縣 অকুমা বলিলেন, “আমি একটু ভাবিয়া দেখি।" প্রায় পাচ মিনিট কাল তিনি চিন্তামগ্ন রহিলেন ; তারপর বলিলেন, “আমাদিগকে এমন কোনও কৌশল অবলম্বন করিতে হইবে, যাহাতে পথিমধ্যে ইহাদের দুই তিন ঘণ্টা বিলম্ব হয় ; এই সুযোগে তুমি নদীর ধারে উপস্থিত হইয়া সেই সংবাদবাহকের সহিত সাক্ষাৎ করিবে, এবং লামাসরাইয়ের মোহান্ত বেনজুর মঠের মোহান্তকে আমার যে পরিচয় পত্র দিয়াছেন, তাহা তাহাকে দিবে ; সেই পত্র লইয়া সে চলিয়া যাইবে। ইত্যবসরে আমি সেই পত্রবাহকের ছদ্মবেশ ধারণ, করিয়া নদীর তীরে বসিয়া থাকিব, আমার কৌশল বুঝিতে ন পারিয়া আমাদের অনুসরণকারীরা তাহাদের পত্রখানি আমাকে প্রদান করিবে। এ সৃঙ্কট হইতে পরিত্রাণের ইহা ভিন্ন অন্য উপায় নাই।”