পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্দশ'পরিচ্ছেদ ՀԳ Ֆ আগন্তুক বলিল, “তোমার পত্র বাহির কর, দেখি ; এ পত্রে যদি লামাসরাইয়ের মোহান্ত-মহারাজের মোহর থাকে, তাহ হইলে আমার উপর তাহা লইয়া যাইবার হুকুম আছে ; মোহান্ত-মহারাজের মোহরহীন পত্র।আমি লইয়া যাইতে পারিব না।” আমি:আগস্থকের হস্তে অকুমাপ্রদত্ত পত্ৰখানি, প্রদান করিলাম ; সে তাহ পরীক্ষা করিয়া বলিল, “ই এ মোহর লামাসরাইয়ের মোহাস্তমহারাজের মোহরই বটে ; কিন্তু আমি এখনই ফিরিয়৷ ঘাইতে পারিব না ; সন্ধ্যা পর্য্যন্ত আমার এখানে প্রতীক্ষা করিবার কথা आोtछ्। o আমি মনে মনে প্রমাদ গণিলাম ! কিন্তু মনের ভাব গোপন করিয়। অত্যন্ত সহজ স্বরে বলিলাম, “আপনাকে এখানে সন্ধ্যা পর্য্যন্ত অপেক্ষ করিতে হইবে, আমিও তাহা জানি ; কিন্তু পত্ৰখানি বড় জরুরী। উচাংএর মোহান্ত-মহারাজ কখন এখানে আসিয়া পড়েন, তাহার স্থিরতা নাই ; তাহার আগমনের পূৰ্ব্বেই পত্ৰখানি বেনজুরু মঠে সেখানকার মোহান্ত মহারাজের নিকট পৌছানো আবশ্যক ৷”-- আমি আমার কথা শেষ করিয়া তুহার হস্তে কয়েকটি স্বর্ণমুদ্র প্রদান করিলাম । so আগন্তুক অকুষ্ঠিত চিত্তে মোহর কয়টা লইয়া তাহার থলির মধ্যে ফেলিল, কিন্তু আমার অনুরোধ রক্ষা করিল না ; বলিলঃ "যতক্ষণ আলো আছে, ততক্ষণ.আমি এখান হইতে নড়িব না ; এত পথ আসিয়াছি, কিছুকাল বির্ভার্ম করাও ত আবশ্যক।” e অধিক পীড়াপীড়ি করিলে পাছে তাহার মনে কোনরূপ সন্দেহ