পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/২৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ প্লরিচ্ছেদ షిసె లి মত একটু স্থান দেখিতে পাইলাম না। পিকিনের প্রাচীর ইহার তুলনায় যেন সমুদ্রের নিকট গোস্পদ ! আমি অকুমাকে জিজ্ঞাসা করিলাম, “এখন উপায় কি ?” অকুমা ইতস্ততঃ চাহিয়া বলিলেন, “তোমার আলখেনাট খুলিয়া আমার হাতে দাও।” আমি আমার লম্বী আলখেল্লাটি খুলিয়া অকুমার হস্তে প্রদান করিলাম। অকুমাও তাহার আলখেল্লাটি খুলিয়া উভয় আলখেল্লার আস্তিন একত্র বাধিলেন। আমাদের অদূরে পর্বত-গাত্রে একটি নিস্তেজ বৃক্ষ সেই পৰ্ব্বতের ভিতর হইতে অতি কষ্টে রস সঞ্চয় করিয়া কোন রকমে বাচিয়া ছিল ; তাহার শিকড়ের যে অংশটা বাহিরে ছিল অকুমা তাহাতেই আলখেল্লার এক প্রাপ্ত বাধিলেন, তাহার পর আলখেলার অন্য প্রাস্ত ধরিয়া পাহাড়ে দুই পা বাধাইয়া ঝুলিয়া পড়িলেন ; দেখিলাম, তাহার পদপ্রাস্ত হইতে র্তাহার পদনিম্নস্থ প্রস্তরখণ্ডের ব্যবধান সাত আট হাতের অধিক নহে ; তিনি অনায়াসেই তাহার উপর লাফাইয়া পড়িলেন। অকুমা তাহার ঔষধের বাক্স ঝুলির মধ্যে লইয়া সেই বুলি কঁাধে ফেলিয়া যে ভাবে নুমিলেন, আৰি যে তেমন অবলীলাক্রমে নামিতে পারিব, তাহা বোধ হইল না ; কারণ, আমার শরীর তাহার শরীর অপেক্ষ অনেক ভারী। কিন্তু না নামিয়া উপায় নাই , আমি ভগবানের নাম স্মরণ করিয়৷ সেই আলখেল্লার রজ্জ উভয় হস্তে আঁকড়াইয়া ধরিয়া কুলিয়া পড়িলাম। গাছের সরু শিকড় অকুমার ভার সহ্য করিয়াছিল, কিন্তু আমার তার সহ্য করিতে পারিল না ; আমি বুলিয়া পড়িবাৰ্মাত্র,