ষোড়শ পরিচ্ছেদ లిష్ని বাহার সাহায্যে এই প্রকার পহুকে রোগমুক্ত করা সম্ভব । যাহার মুখ পৰ্য্যন্ত নাড়িবার সামর্থ্য নাই, যে কোন সামগ্রীই বিন্দু মাত্রও গলাধঃকরুণ করিতে পারে না, তাহার আরোগ্যর আশা--স্কুল দৃষ্টিতে বাতুলতামাত্র বলিয়াই মনে হয় ।” বৃদ্ধ সন্ন্যাপী বলিলেন, “এখন দ্রব্যগুণের শক্তি পরীক্ষা কর, ভগবানের অনুগ্রহে—জ্ঞানবলে মনুষ্য কিরূপ অদ্ভুত কৰ্ম্ম সাধন করিতে পারে, তাহ চাহিয়া দেখ ; স্মরণ রাথিও, ইহা ইন্দ্ৰজাল নহে, সম্মোহন বিদ্যাও নহে ; সে সকল অতি নিরন্থ বিদ্যা, ভিক্ষাজীবি ফকিরগণের তাহা ভিক্ষা লাভের ফিকির মাত্র, তাহার ফল ক্ষণকাল স্থায়ী ; কিন্তু আমাদের দুষ্কর তপস্তালব্ধ সাধনার ফল স্থায়ী।" o বৃদ্ধ সন্ন্যাসী অকুমার হস্ত হইতে পূৰ্ব্বোক্ত শিশিট গ্রহণ করিয়াই কয়েকবিন্দু দ্রব পদার্থ তাহার সম্মুখস্থ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করিলেন, সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিকুণ্ড হইতে প্রচুর পরিমাণে ধূম উদগত হইতে লাগিল । আমি স্বারপ্রাস্তে দাড়াইয়। সেই ধূমের গন্ধ পাইলাম ; কপূরের সহিত চন্দন মিশ্রিত হইলে যেরূপ মিশ্র গন্ধ উৎপন্ন হয়, এই ধমের গন্ধ ও কতকটা সেইরূপ । , অল্পক্ষণ পরে দ্বিতীয় সন্ন্যাসী রোগীর পরিধেয় বস্ত্র খুলিয়া ফেলিলেন, এবং সেই শিশির ঔষধ—দুই এক বিন্দু তাহার মুখে ঢাপিয় দিয়া তাহার নাসিকা ও মুখ বস্ত্রাবৃত করিলেন ; সঙ্গে সঙ্গে রোগ মজ্ঞান হইয়া পড়িল । অনস্তর বৃদ্ধ সম্যাগী আর একটি শিশি হইতে আর এক স্বারক ঢালিয়া—উভুয় হস্তে তাহা রোগীর সর্বাঙ্গে দুই তিন বুরে\,
- ?
