পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిసిషి জাল মোহান্ত ইঙ্গিতমাত্র চারি জন সবলকায় দীর্ঘদেহ প্রহরী তাহার হাত ধরিয়া টানিয়া তুলিল, এবং ধাক্কা দিয়া তাহাকে পদপ্রান্তস্থ অতল গহ্বরে নিক্ষেপ করিল ; মুহূৰ্ত্তমাত্র তাহার কাতর চীৎকার আমাদের কর্ণে প্রবেশ করিল,—আত্মরক্ষার জন্য তাহার অন্তিম ব্যাকুলত মুহূর্ডের জন্য আমাদের দৃষ্টিপথে পুতিত হইল! তাহার পর সকলই শেষ হইয় গেল । সহস্ৰাধিক ফিট নিয়ে পৰ্ব্বত গুহায় তাহার দেহ সমাহিত হইল । —এতদিন পরেও যেন তাহার সেই অন্তিম আৰ্ত্তনাদ আমার কর্ণমূলে প্রতিধ্বনিত হইতেছে, তাহার সেই ব্যাকুলত এখনও আমার মানসনেত্রে প্রতিফলিত হইতেছে। বুঝিলাম, আর মুহূৰ্ত্ত মধ্যেই আমাদিগকেও এই বন্দীর অনুসরণ করিতে হইবে । iro পরমেশ্বর আছেন কিনা জানি না;"জীবনে কখনও সে তত্ত্বের সন্ধান লই নাই ; তিনি অসহায়ের সহায় বা পরম করুণাময় কি না, এ তর্ক ও কোন দিন আমার মনে উদিত হয় নাই । কখনও কখনও মনে হইয়াছে, ধদি এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের কেহ নিয়ন্ত থাকেন, তবে তিনি চির নিৰ্ব্বিকার, মনুষ্যের মুখদুঃখে তিনি কখনও বিচলিত হন না ; পাপপুণ্য ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম র্তাহার নিকট সমান ; তিনি সৰ্ব্বশক্তিমান হইতে পারেন, কিন্তু নিয়তি খণ্ডন করিবার তাহার সাধ্য নাই ; মোহান্ধ মুখেরাষ্ট্র বিপদে পড়িয় র্তাহার করুণাপ্রার্থী হয় ; তিনি অগতির গতি ভাবিয়া যুক্ত করে একান্ত মনে তাহার রূপাভিক্ষা করে –চিরদিন এই রূপই বিশ্বাস করিয়া আসিয়াছি ; কিন্তু আজ জীবনের এই সৰ্ব্বাপেক্ষা ভীষণ দুদিনে, মৃত্যুর প্রখর স্রোতের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইয়া বুঝিতে পারলাম, ভগৰানে আত্মসমর্পণ করা মূঢ়ত নহে, তাহ মানসিক ছীলতারও ফল