পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ebro জাল মোহান্ত পায়, তাহা হইলে আমাদের অবস্থা কিরূপ শোচনীয় হইবে ভাবিয়া আমার বক্ষের স্পন্দন বন্ধ হইল, আমি রুদ্ধ নিশ্বাসে বসিয়া রহিলাম। আমার ললাটে ঘৰ্ম্মবিন্দু সঞ্চিত হইল। সন্ন্যাসীদের পদশব্দে বুঝিলাম ভাহারা আমাদের গুহাম্বার হইতে দশ পনের হাতের মধ্যেই আসিয়৷ পড়িয়াছে ! যদি তাহার খুজিতে খুজিতে আমাদের গুহ্যদ্বারে উপস্থিত হয়, তাহা হইলে সহজে আত্মসমর্পণ করিব না, রীতিমত যুদ্ধ করিয়৷ প্রাণত্যাগ করিব, এইরূপ সংকল্প স্থির করিয়া বসিয়া রহিলাম । কিন্তু আমাদের সৌভাগ্যবশতঃ তাহারা আমাদের গুহার দিকে আসিল না, ক্রমে তাহদের পদশব্দ আর শুনিতে পাইলাম না ; পৰ্ব্বত-কন্দরে তাহাদের কণ্ঠস্বরের যে প্রতিধ্বনি হইল, তাহ শুনিয়া বুঝিলাম, তাহার: দূরে চলিয়া গিয়াছে ; অকুমারও উদ্বেগ দূর হইল। সন্ধ্যার পর আবার আমরা যাত্রা আরম্ভ করিলাম, এবং অস্পষ্ট নক্ষত্রালোকে অনেক চড়াই ও উৎরাই অতিক্রম করিয়া রাত্রিশেষে আমরা একটি সুপ্রশস্ত পাৰ্ব্বত্য অধিত্যকায় উপস্থিত হইলাম। প্রত্যুষে উষালোকে এই অধিত্যকার এক প্রান্তে একখানি ক্ষুদ্র গ্রাম দেখিতে পাইলাম । • অকুমা বলিলেন, “আজ সমস্ত দিন । এই অধিত্যকার এক অংশে একটি গুহায় লুকাইয়া থাকিতে হইবে । কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে কিছু খাদ্য সামগ্রী সংগ্রহ করা আবশ্বক ; আজও সমস্ত দিন যদি উপবাস করিতে হয়, তাহা হইলে রাত্রে আর পদযাত্র চলিবার শক্তি থাকিবে না।” * * * ** - আমি বলিলাম, “দীর্ঘ কাল অনাহারে থাকিয়া আমার পেটের নাড়ী