পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• প্রথম পরিচ্ছেদ 86: অকুমা সহাস্তে আমাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমার বিড়াল সম্বন্ধে আপনার কিরূপ ধারণা ?”, 緣 আমি বলিলাম, “যদি আমি কুসংস্কারান্ধ হইতাম, তাহা হইলে বলিতাম, আপনার এই বিড়ালটাকে দানোয় পাইয়াছে, না হয় পূৰ্ব্বজন্মে এটি কোন যোগসিদ্ধ মহাপুরুষ ছিল ; কাহারও শাপে বিড়ালযোনি প্রাপ্ত হইয়াছে !” * অকুমা বলিলেন, “আপনি যাহাই মনে করুন, আমার শিক্ষাকৌশলেই আমার বিড়ালের এই ক্ষমতা জন্মিয়াছে। সকল প্রাণীর মধ্যেই একটি বিশেষ শক্তি অল্পাধিক পরিমাণে বৰ্ত্তমান আছে ; এই শক্তির অস্তিত্ব ইতর প্রাণীদের মধ্যে বিড়ালের কিঞ্চিৎ অধিক । ইতর প্রাণী পৰ্য্যস্ত যখন এই দৈব শক্তির অধিকারী, তখন সুদীর্ঘ কাল সেই . শক্তির পরিচালন করিলে মনুষ্য-হৃদয়ে তাহ। কিরূপ প্রবল হইতে পারে ইহা অনুমান করা কঠিন নহে ; এই শক্তির সাহায্যে মঙ্গুষ্যের ধারণাতীত অনেক অজ্ঞাত তথ্য নিরূপণ করা যায়। প্রাচ্যে ইহার নাম মস্তু শক্তি, কিন্তু ইউরোপে ইহাকে সন্মোহন শক্তি বলে । আমি বলিলাম, “দুর্ভাগ্যক্রমে এ সম্বন্ধে আমার কিছু মাত্র অতিজ্ঞর্তা নাই ।” 影 অকুম বলিলেন, “চেষ্টা ভিন্ন কোনও বিষয়েই অভিজ্ঞতা লাভ হয় না ; সকল বিষয়েই সকলের ,কিছু কিছু অভিজ্ঞতা থাকা ভাল। পৃথিবীতে বহুবিধ বিদ্যা আছে। সকলে সকল বিদ্যা আয়ত্ব করিতে পারে না; যাহারাভাগ্যবান ও প্রতিভাশালী, তাহারাই অনেক বিদ্যায় পারদর্শী হয়। বিষ্ঠা আবার দুই প্রকার জড় বিদ্যা ও পরা