পাতা:জাল মোহান্ত.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ჯ, জাল মোহাত্ত -- ০৮:১৬, ৩ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি)~~- - - --కీ- - --WikitanvirBot (আলাপ) ০৮:১৬, ৩ মার্চ ২০১৬ (ইউটিসি) বিদ্যা। ইউরোপ, আমেরিকা এবং আমাদের জাপান জড় বিস্কায় যথেষ্ট উন্নতি লাভ করিয়াছে ; বিনা তারে দেশান্তরে টেলিগ্রাম পৰ্য্যন্ত পাঠাইবার ব্যবস্থা হইতেছে ; কিছু দিন পরে জল যুদ্ধ ও স্থল যুদ্ধ তুলিয়া দিয়া তাহার মেঘের অন্তরাল হইতে যুদ্ধ, করিবে বসুকে শব্দ হইবে না ; বারুদেরও গন্ধ পাওয়া যাইবে না ; নবাবিষ্কৃত আগ্নেয়াস্ত্রের সাহায্যে মিনিটে শত শতৃ লোকের প্রাণ বিনাশ করা যাইবে ; কৃত্রিম মেঘের সাহায্যে শস্ত ক্ষেত্র সমূহকে সরস ও উর্বর করা হইবে। এ সকল জড় বিদ্যার ফল, পার্থিব প্রতিষ্ঠা লাভের নিমিত্ত ইহার আবশুক । কিন্তু পার্থিব প্রতিষ্ঠালাভেই মানবজীবনের সৰ্ব্বোচ্চ কামনা পূর্ণ হয় না, সেই জন্যই পরা বিদ্যার অনুশীলন আবশ্বক। এই বিদ্যার প্রসাদে • যোগী, ঋষি, তপস্বী ও সিদ্ধ চারণগণ চক্ষু মুদ্রিত ও ইন্দ্ৰিয়বৃত্তি নিরুদ্ধ করিয়া মুহূর্ত মধ্যে ভূত ভবিষ্যতের সকল সংবাদ জানিতে পারিতেন ; এই বিস্কার বলে মৃত দেহে তাহারা জীবন সঞ্চার করিতে পারিতেন ; এই বিস্কাই শ্রেষ্ঠ বিদ্যা । এ সম্বন্ধে আপনাকে কোন কোন কথা বলিব ; কিন্তু তৎপূৰ্ব্বে আমার একটি প্রশ্ন আছে। আপনি কি , পলিতে পারেন কোথায় আমাদের জীবনের আরস্ত, আর কোথায় তাহার শেষ ?” e আমি বলিলাম, “জন্মেই জীবনের আরম্ভ, আর মৃত্যুতে তাহার শেব ।” - অকুমা বলিলেন, “মৃত্যুর পরে কি আর কিছুই নাই ?” আমি বলিলাম, "থাকিতে পারে, কিন্তু সে কথার উত্তর ধৰ্ম্মশাস্ত্রকারের ও পাদরি মহাশয়ের ভাল বলিতে পারেন।"