পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এক না দুই ? জগৎ এক না দুই ? এই প্রশ্নের মীমাংসা লইয়া দার্শনিকের বহুকাল হইতে দুই সম্প্রদায়ে বিভক্ত হঠয়া আছেন । কোন কালে এই প্রশ্নের মীমাংসা হয় নাই । কখনও হইবে কি না সন্দেহ । বর্তমান প্রবন্ধে মীমাংসার কোন উপায় হইবে, লেখকের সেরূপ অঙ্কুচিত স্পৰ্দ্ধা নাই ; তবে পাঁচ জন পণ্ডিতে পাচ রকম উত্তর দিয়া থাকেন, তাহারই যৎকিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাইবে মাত্র । প্রথমে প্রশ্নের অর্থ বুঝা আবশুক। প্রত্যক্ষ পদার্থের সংখ্যা করিয়া উঠে, মনুয্যের মনের এরূপ শক্তি নাই । বস্তুতই যে সকল জ্ঞানগোচর সামগ্রী জগতের উপাদান, তাহাদের সংখা নির্ণয়ের কোন উপায় নাই । সংখ্যা করিতে উপস্থিত হইলেই মনুষ্যকে দিশহারা হইতে হয় । অথচ জগৎ লইয়া যখন কারবার, তপন উহাদের সহিত এক রকম পরিচয় না রাখিলেও চলে না। প্রত্যেকের সহিত পৃথক করিয়া পরিচয় যেখানে অসম্ভব, সেখানে বাধ্য হইয়া শ্রেণীবিভাগের ব্যবস্থা করিতে হয় । গোটাকতক লক্ষণ ধরিয়া সেই ক্ষণের হিসাবে সকলকে শ্রেণীবদ্ধ করিতে হয় । এইরূপে সংখ্যাত্ৰাত পদার্থ অল্পসংখ্যক শ্রেণীর মধ্যে নিবিষ্ট হয়। আবার পঞ্চাশটা শ্রেণীকে কোন একটা বিশেষ লক্ষণ ধরিয়া অার একটা বৃহত্তর শ্রেণীর মধ্যে ফেলিতে হয় । এইরূপে শেষ পর্য্যস্ত গোটাকতক শ্রেণীর মধ্যে জ্ঞানগোচর সমুদয় পদার্থই স্থানলাভ করে । এই শ্রেণী কয়টার লক্ষণ মনে করিয়া রাখিতে পারিলে সমগ্র জগৎটারই একরকম পরিচয় জানা হয়। এইরূপে মানসিক পরিশ্রমের লাঘব ঘটে ; এবং দুরন্ত