পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○○ জিজ্ঞাসা সংক্ষিপ্ত ভাষায় উহার বর্ণনা দিয়াছেন। একটা সংক্ষিপ্ত স্থত্রের ভিতর অনেকগুলা কথা পুরিয়াছেন ; একটা বিস্তৃত ব্যাপায়ের বর্ণনা দিয়াছেন। কিন্তু তাহ বর্ণনামাত্র ; বর্ণনার অতিরিক্ত আর কিছুই নহে। ব্যাকরণকৌমুদীর দশটা স্বত্র মুগ্ধবোধের একটা স্বত্রের সমান ফল দেয়। উভয়ই বিভিন্ন ভাষায় একই ব্যাপারের বর্ণনা দেয় । চলিত ভাষায় যে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিতে দশ পাতা কাগজ লাগে, এই দীর্ঘ প্রবন্ধে পাঠককে নিৰ্য্যাতন করিয়াও যে বর্ণন সম্যকৃভাবে দিতে পারি নাই, নিউটনের ক্ষুদ্র স্বত্রে তাহা সম্পূর্ণতা লাভ করিয়াছে। প্রাকৃতিক নিয়ম স্বত্রাকারে লিপিবদ্ধ করাই বিজ্ঞানের কাজ । ইহাতে নিৰ্ব্বোধের চোখে ধাধা লাগে, বুদ্ধিমানের মানসিক শ্রমের সংক্ষেপসাধন ঘটে । নিৰ্ব্বোধে বলে, নিউটন আতাফল পতনের কারণ নির্দেশ করিয়া গিয়াছেন ; বুদ্ধিমানে জানেন, নিউটন দেখাইয়াছেন, আতাফল জগতে যে নিয়মে চলে, চন্দ্র হইতে বরুণগ্রহ পর্য্যস্ত সেই নিয়মেই চলে । কেন চলে, নিউটন জানিতেন না, আমরাও জানি না । নিয়ম আছে, ভাল । নিয়ম না থাকিত, হয় ত আরও ভাল হইত। অন্ততঃ এই দুৰ্ব্বহ মানবদেহধারণের দায় হইতে অব্যাহতি পাওয়া যাইত । নিয়মের রাজত্ব বিশ্বজগৎ নিয়মের রাজ্য, এইরূপ একটা স্বাক্য আজকাল সৰ্ব্বদাই শুনিতে পাওয়া যায়। বিজ্ঞানসম্পৃক্ত যে কোন গ্রন্থ হাতে করিলেই দেখা যায়, উহাতে লেখা রহিয়াছে, প্রকৃতির রাজ্যে অনিয়মের অস্তিত্ব নাই ; সৰ্ব্বত্রই নিয়ম, সৰ্ব্বত্রই শৃঙ্খগা। ভূতপূৰ্ব্ব আগাইলের ডিউক নিয়মের রাজত্বের গুণগান করিয়া এক খান। বৃহৎ কেতাবই লিখিয় ফেলিয়াছেন । মনুষ্যের রাজ্যে আইন আছে বটে, এবং আইন ভঙ্গ করিলে