পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিয়মের রাজত্ব >¢ፃ শাস্তিরও ব্যবস্থা আছে ; কিন্তু অনেকেই আইনকে ফাকি দিয়া অব্যাহতি লাভ করে । কিন্তু বিশ্বজগতে প্রকৃতির রাজ্যে যে সকল আইনের বিধান বর্তমান, তাহার একটাকেও ফাকি দিবার যে নাই । কোথাও ব্যভিচার নাই, কোথা ও ফাকি দিয়া অব্যাহতি লাভের উপায় নাই । কাজেই প্রাকৃতিক নিয়মের জয়গান করিতে গিয়া অনেকে বিস্মিত হন, ভাবাবেগে গদগদকণ্ঠ হইয়া থাকেন ; তাঙ্গদের শরীরে বিবিধ সাত্ত্বিকভাবের আবির্ভাব হয় । যাহার মিরাকল মানেন, তাহার! সকল সময়ে এই নিয়মের অস্তিত্ব স্বীকার করেন না, অথবা প্রকৃতিতে নিয়মের ਗੋ স্বীকার করিলেও অতিপ্রাকৃত শক্তি সময়ে সময়ে সেই নিয়ম লঙ্ঘন করিতে সমর্থ, এই রূপ স্বীকার করেন । যাহার মিরাকল মানিতে চাহেন না, তাহার গতিপক্ষকে মিথ্যাবাদী, নিৰ্ব্বোধ, পাগল ইত্যাদি মধুর সম্বোধনে আপ্যায়িত করেন । সময়ে সময়ে উভয়পক্ষে বাগযুদ্ধের পরিবর্কে বাহুযুদ্ধের অবতারণা হয়। বর্তমান অবস্থায় প্রাকৃতিক নিয়ম সম্বন্ধে নুতন করিয়া গম্ভীরভাবে একটা প্রবন্ধ লিখিবার সময়গিয়াছে, এরূপ না মনে করলেও চলিতে পারে । প্রাকৃতিক নিয়ম কাহাকে বলে ? দুই একটা উদাহরণ দ্বারা পরিস্কট করা যাইতে পারে। গাছ হইতে ফল চিরকালই ভূমিপৃষ্ঠে পতিত হয় । এ পর্য্যন্ত যত গাছ দেখা গিয়াছে, ও যত ফল দেখা গিয়াছে, সৰ্ব্বত্রই এই নিয়ম। যে দিন লোষ্ট্রপাতিত আম্র ভূপৃষ্ঠ অন্বেষণ না করিয়া আকাশমার্গে ধাবিত হইবে, সেই ভয়াবহ দিন মনুষ্যের ইতিহাসে বিলম্বিত হউক । ফলে আম বল,জাম বল, নারিকেল বল, সকলেই অধোমুখে ভূমিতে পড়ে, কেহই উদ্ধমুখে আকাশপথে চলে না। কেবল আম জাম নারিকেল