পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 জিজ্ঞাসা তার চেয়েও কম । তোমাঞ্জ শরীর হইতে চারিদিকে আকাশে ধাক্কা লাগে । সেই ধাক্কা আসিয়া চক্ষুর পটে লাগে। স্নায়ুযোগে সেই ধারা মস্তিষ্কে নীত হইয়া মস্তিষ্কের স্থানবিশেষে বিশেষ একরকম আন্দোলন উপস্থিত করে । সেই আন্দোলনের সঙ্গে সঙ্গে তোমার রূপবিষয়ে আমার অনুভূতি জন্মে । আকাশের ধাক্কা মস্তিষ্কে পৌছান পৰ্য্যস্ত একরকম বুঝা যায়। কিন্তু মস্তিষ্কের আন্দোলনের সঙ্গে রূপানুভূতির সম্বন্ধ ভাল বুঝা যায় না । সাদৃশু ত কিছুই নাই ; সম্বন্ধ একটা আছে, সাহচর্ষ্য ও পারম্পর্য্য লইয়া । এই সম্বন্ধ লইয়া সঙ্কেত । যখনই সেইরূপ আন্দোলন, তখনই সেইরূপ অনুভূতি । তাই যখনই সেই অনুভূতি জন্মে, তখনি তার কারণস্বরূপ তোমার অস্তিত্ব অনুমান করি । অনুভূতিটা আমার অংশ, আমার চৈতন্তের এক কণিকা, চৈতন্তপ্রবাহের একটি ঢেউ ; সুতরাং সত্য । তোমার অস্তিত্ব আমার অনুমান, আমার বুদ্ধিশক্তির একটা কারিগরি, একটা স্বষ্টি, একটা কল্পনা। এই কল্পনাটাতে আমার দৈনিক কাজকৰ্ম্ম চলিয়া যায় ; তার উপর ভর করিয়া আমার জীবনের দৈনিক আয় ব্যয়ের বজেট তৈয়ার করি ; সাবধান হইয়া চলিলে জীবনযাত্রা বেশ একরকম চলে। কিন্তু মাঝে মাঝে ঠেকিতে হয়, প্রতারিত হইতে হয় । তখন ফাজিল অঙ্ক আসিয়া পড়ে। চিরজীবনটা সঙ্কেতের, উপর ভর করিয়া চালাইয়া থাকি । সঙ্কেত লইয়। কারবার করিতে হতলে মাঝে মাঝে ঠকিতে চয় । টেলিগ্রাফের কেরাণী ইহা বেশ বুঝেন । কাটা নড়ল, সঙ্কেল পাওয়া গেল ; কেরাণী মহাশয় সঙ্কেত পাঠ করিয়া একটা সঃ ..৭ও খাড়। করিলেন ; কিন্তু তার মুল সত্য নাই। পরে প্রকাশ হইল যে ঐ রূপ সংবাদ কেহ পাঠায় নাই । বিশ্বাসঘাতী কঁটি আপন হইতে নড়িয়াছে । সেইরূপ রূপানুভূতি হইতে আমরা রূপবানের অস্তিত্ব অনুমান করি। কিন্তু এমনও ঘটিয়া থাকে যে রূপানুভূতি ঘটিল, কিন্তু রূপবান নাই ।