পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/২৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাক্সওয়েলের ভূত ২২৩ বঞ্চিত করিয়া তাহাকে শীতল বায়ুতে পরিণত করিতেছে । এঞ্জিনিয়ারের উদ্ভাবিত সংখ্যাতীত অসম্পূর্ণ যন্ত্ৰযোগে এই নৈসর্গিক শক্তিসমষ্টি মুহূর্তে মুহূর্তে অপচিত হইয়া যাইতেছে ; তজ্জন্ত কেহ পরিতাপ করে না, কেহ আক্ষেপও করে না । কেবল দুই একজন বিজ্ঞানসেবক মনুষ্যের পরিণাম চিস্তা করিয়া বিহবল হন ও সেই সঙ্গে জগতের পরিণাম ভাবিয়া আতঙ্কিত হন মাত্র । এতক্ষণে বোধ হয় হেঁয়ালি ভাঙিল ; দীপশিখার বিরুদ্ধে যে ভয়ঙ্কর চার্জ খাড়া করিয়া বর্তমান প্রস্তাবের উপক্ৰমণিকা করা গিয়াছে, তাহার কতকটা তাৎপৰ্য্য পাওয়া গেল । রাত্রির অন্ধকার দূর করিতে আমরা চাই কিঞ্চিৎ আলোক, যৎকিঞ্চিৎ শক্তি । আকাশ বা ঈথর মধো কিয়ংকাল ধরিয়া গোটা কত কম্পনতরঙ্গ উৎপাদন করিলেই আমাদের কাজ চলে । কিন্তু তজ্জন্ত আমরা তেল পোড়াইয়া, বাতি পোড়াইয়া, গাস পোড়াইয়া, দস্তা পোড়াইয়া, সহস্র গুণ পরিমাণ শক্তিকে অপচয় করিয়া তাহার কার্য্যকারিতা নষ্ট করিয়া ফেলি । চাই আমরা একখানা হাত পাখার সাহায্যে গ্রীষ্ম নিবারণ করিতে, আমাদের উদ্ভাবিত উপায় একটা অনাবশুক ঝঙ্কাবতার স্বষ্টি করিয়া ফেলে। চাই আমরা চারি পয়সায় ময়দ ভাজিয়া ক্ষুধা নিবারণ করিতে ; আমাদের পাচক ঠাকুর বাক্স ভাঙ্গিয় হাজার টাকার অলঙ্কার লইয়া প্রস্থান করেন । আচমনে এক গণ্ডুষ জল আবশুক ; আমরা হিমালয় হইতে খাল কাটিয়া গঙ্গা আনিয়া গৃহ দ্বারে উপস্থিত করি, এবং তজ্জন্ত একটা পুৰ্ত্ত বিভাগের খরচ জোগাই । বিশল্যকরণীর একটা শিকড়ের জন্ত আমর প্রকাও গন্ধমাদনকে স্বন্ধে করিয়া সমুদ্র লঙ্ঘনের আয়োজন করি । প্রকৃত পক্ষে ইহা প্রহসন ; কিন্তু এই প্রহসনের পরিণাম যেরূপ শোচনীয়, তাহাতে ইহাতে হাস্তরসের অপেক্ষা করুণরসের সঞ্চার হওয়াই উচিত ।